পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হিসেবে গবেষণায় ওঠে এসেছে মু’সলিম’দের নাম। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ডেইলি মেইলের তথ্য মতে জানা যায়, সুখী মানুষ হিসেবে শীর্ষস্থানে রয়েছে মু’সলিম’রা। এরপর যথাক্রমে খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও হিন্দুরা। আর যারা কোনো ধ’র্মে বিশ্বা’স করে না তথা নাস্তিকরা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে অ’সুখী মানুষ।
পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ নির্ণয়ের এ গবেষণাটি যুক্তরাষ্ট্রের সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত হয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ডেইলি মেইলের বরাতে জানা যায়, জার্মানির ম্যানহেইম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সুখী মানুষের চিত্র তুলে ধরতে ৬৭ হাজার ৫৬২ জন মানুষের ওপর জরিপ চালায়। আর এ জরিপের আলোকে মু’সলিম’রাই হলো পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।
গবেষণা প্রতিবেদনে সুখী হওয়ার উপায় স’ম্পর্কে বলা হয়, ‘মু’সলমানদের এক আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বা’সই তাদেরকে কোনো হতাশা ও উদ্বেগ স্প’র্শ করতে পারে না।
আবার মু’সলিম’রাই মানুষের প্রতি সবচেয়ে বেশি সহনশীল। কুরআন এবং হাদিসের নির্দেশনাও হলো মানুষের প্রতি সহনশীল হওয়া। আর এসব কারণে মু’সলিম’দের মধ্যে আত্মহ.. ত্যা, হতাশা ও উদ্বেগ প্রবণতা অন্যদের তুলনায় অনেক কম।
এ গবেষণার ফলাফল ও জরিপে নেতৃত্ব দেন জার্মানির ম্যানহেইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজিস্ট ড. লরা ম্যারি এডিনগার-স্কন্স। গবেষণা একটি বিষয় সুস্পষ্টভাবে ফুটে ওঠেছে যে, মানুষের সন্তুষ্টি ও আত্ম-তৃপ্তির সঙ্গে একত্ববাদের এক গভীর স’ম্পর্ক রয়েছে। একত্ববাদ মানুষকে উদার, মানবিক ও ত্যাগী হতে উদ্বুদ্ধ করে।
আর মু’সলিম’দের মধ্যে ধ’র্মের প্রভাব সবচেয়ে বেশি কার্যকর। যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে আল্লাহ ভয়ই মানুষকে জবাবদিহিতার দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তোলে। তাই মু’সলমানরা সাধারণত অন্যা.. য় ও অ.. পরাধমূলক কাজ থেকে বিরত থাকে। আর এটিই তাদেরকে বিশ্বব্যাপী সুখী মানুষ হতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালে পিও গবেষণা কেন্দ্রের এক তথ্যেও ধ’র্মের প্রতি আন্তরিক সুস’ম্পর্ক ও সহনশীলতায় মানুষের সুখী হওয়ার বিষয়টি ওঠে আসে। প্রকৃত অর্থেই ইস’লাম হলো শান্তির ধ’র্ম। দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি সুখ ও শান্তি রয়েছে একত্ববাদে বিশ্বা’সী ধ’র্ম ইস’লামে।
ব্রিটেনের ‘ডেইলি মেইল’ এক প্রতিবেদনে জানায়, জার্মানির ম্যান হেইম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটি যুক্তরাষ্ট্রের সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়,
আল্লাহর একত্ববাদ আর আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বা’স মু’সলিম’দেরকে প্রভাবিত করায় হতাশা ও উদ্বেগ তাদেরকে খুব একটা গ্রাস করতে পারে না। মানুষের প্রতি মু’সলিম’দের সহানুভূতি অনেক বেশি। এ কারণেই তাদের মধ্যে আত্মহ’ত্যার প্রবণতা অনেক কম। ম্যানহেইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজিস্ট ড. লরা ম্যারি এডিনগার-স্কন্স এ গবেষণার ফলাফল তৈরি করেন।
তিনি বলেন, গবেষণাটির ফলাফলে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, মানুষের সন্তুষ্টির সঙ্গে একত্ববাদের সরাসরি স’ম্পর্ক আছে। ধ’র্মসংক্রান্ত মনস্তাত্ত্বিক জ্ঞানের ক্ষেত্রকে আরো প্রসারিত করেছে এ একত্ববাদ। মু’সলিম’দের সন্তুষ্টিতে ধ’র্মের প্রভাবের বিষয়টি আরো বেশি প্রভাব বিস্তার করে। মু’সলিম’দের মনে আল্লাহর ভয় বদ্ধমূল থাকে। এ জন্য তারা বহুবিধ পাপাচার থেকে বিরত থাকে। তাই তারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সুখী। গবেষণার বিশ্লেষণে দেখা যায়, উচ্চ ধার্মিকতা বিষন্নতা এবং মা’দকদ্রব্যের অ’পব্যবহার ও আত্মহ’ত্যার ঝুঁ’কি কমিয়ে দেয়। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ধ’র্ম ও সুখের সঙ্গে একটি ইতিবাচক সংযোগ আছে।