জাপানে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে টাইফুন হাগিবিস। বুধবারও উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন উদ্ধার কর্মীরা। এখন পর্যন্ত ৭৪ জনের নিহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম এনএইচকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
এখনও পর্যন্ত ১২ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া দুর্যোগের সময় বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আরও ২২০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। শক্তিশালী এই ঝড়ে দেশটির বিভিন্ন এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। শনিবার রাতে আঘাত হানা এই টাইফুনে ভূমিধস ও বন্যায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
১৯৫৮ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন হাগিবিসের তাণ্ডবে দেশটির কয়েক লাখ বাড়িঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গত ৬০ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশটির প্রায় ৫২টি নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ফুকুসিমায়। এনএইচকে বলছে, শুধুমাত্র ফুকুশিমায় হাগিবিসের তাণ্ডবে কমপক্ষে ২৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
ঘুর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার বাড়ি-ঘর পানির সংকটে পড়েছে। এছাড়া ২৪ হাজার বাড়িঘরে কোনো ধরনের বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। আরও হাজার হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া দেশটির উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে থাকায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।