Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

siddikঅনেকদিন ধরেই সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান ও মারিয়া মিম দম্পতির। মাস তিনেক ধরেই আলাদা থাকছেন তারা। এদিকে মারিয়া মিম আর সিদ্দিকের সঙ্গে থাকতে চান না বলে গণমাধ্যমে জানান। তিনি শিগগিরই ডিভোর্স দিতে যাচ্ছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন।

সিদ্দিকের স্ত্রী মারিয়া মিম মডেলিংয়ের সঙ্গে জড়িত অনেক দিন ধরেই। তিনি চাইছেন নিয়মিত কাজ করতে। কিন্তু স্বামী চাইছেন না তার স্ত্রী শোবিজে কাজ করুক। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে মানসিক দূরত্ব।

chardike-ad

এ বিষয়ে সিদ্দিক বলেন, ‘আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো গণমাধ্যমে দেখে আমি খুব অবাক হয়েছি। বিভিন্ন সংসারেই এমন অশান্তি হয় আবার মিটেও যায়। আমাদেরও তেমনই হয়েছে। আমি জানি না কার প্ররোচণায় মিম গণমাধ্যমে এসব কথা বলছে।

স্বামী হিসেবে আমার কাছে মনে হয়েছে মিমের মিডিয়ায় কাজের চেয়ে সংসারে মনোযোগী হওয়াটা বেশি দরকার।’

‘আমার তো আর্থিক সংকট নেই যে আমার স্ত্রীকে কাজ করে সংসার চালাতে হবে। আমাদের স্বপ্ন একটাই সন্তানটাকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা’- যোগ করেন সিদ্দিক।

‘গ্রাজুয়েট’খ্যাত এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমাদের ছেলের বয়স এখন ৬ বছর। এটা তার স্কুলে যাওয়ার বয়স। এই সময়ে আমরা দুজনই যদি মিডিয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি তাহলে আমাদের একমাত্র ছেলের ভবিষ্যৎটা নষ্ট হয়ে যাবে। এ কারণে মিমকে বলেছিলাম মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে। এর বেশি কিছু না। ডিভোর্স দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি আমাদের মধ্যে। আমাদের সম্পর্কটা কেমন এটা মিডিয়ার সবাই জানে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঈদের সময় বাড়ি গিয়ে আর ফিরে আসেনি মিম। ডিভোর্স দেওয়ার মতো কিছু হলে সেটাতো দুই পরিবারের সবাই বসে যেটা সঠিক মনে হয় সেটাই করবে। তবে সে যদি আমাকে ডিভোর্স দেয় সেটা তার ব্যাপার। ডিভোর্স দিয়ে কাজ করুক। তার আগে কোনোভাবেই কাজ করতে পারবে না।

তবে আমি চাই, তার সঙ্গে সংসার করতে। সবকিছুর আগে নিজের পরিবার। এখন হয়তো মিম সেটা বুঝতে পারছে না। আমি আশা করি মিম বিষয়টি বুঝবে।’

সিদ্দিক জানান, সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করা নিয়ে ঝামেলা হয় মিমের সাথে। নিষেধ করা সত্ত্বেও সে কাজটি করতে চায়। শেষে অবশ্য বিজ্ঞাপনটিতে তার কাজ করা হয়নি।

এতেই হয়তো ক্ষোভে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিম, এমনটাই ধারণা তার স্বামীর।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ মে মারিয়া মিমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন সিদ্দিক। ২০১৩ সালে তারা আরশ হোসেন নামে এক পুত্রের বাবা মা হন। ছেলে এখন বাবার সাথেই থাকে।