আগামী ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে রয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। এবার সভাপতি পদে মিশা সওদাগরের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মৌসুমী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল বিকালে বিএফডিসিতে খল অভিনেতা ড্যানিরাজের হাতে লাঞ্ছিত হন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএফডিসিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন তাৎক্ষণিকভাবে প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখানে ড্যানিরাজ কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গতকাল বিকালে মৌসুমীকে শুভেচ্ছা জানাতে শিল্পী সমিতিতে আসেন মহিলা লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এসময় শিল্পী সমিতিতে প্রবেশ নিয়ে ড্যানিরাজের সঙ্গে হট্টগোল বাঁধে। একপর্যায়ে তিনি মৌসুমীকে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় ঘটনা স্থলে মিশা সওদাগর, জয়সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
গত ৫ অক্টোবর ২০১৯-২১ মেয়াদের শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা থেকে জানা যায়, সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহ-সভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রত’র বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত জ্যাকি আলমগীর এবং ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন— অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।