শেষ ওভারে প্রয়োজন ৯ রান। উইকেটে সানজামুল আর এবাদত হোসেন। এমন পরিস্থিতিতে তো ব্যাটসম্যানরাই পারেন না, বোলাররা কিভাবে পারবেন? সানজামুল আর এবাদত তবুও চেষ্টা করলেন এবং শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে শ্বাসরূদ্ধকর এক ম্যাচে বাংলাদেশকে ১ উইকেটের ব্যবধানে জয় উপহার দিলেন তারা।
কলম্বোয় শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের ছুঁড়ে দেয়া ২২৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালোই ব্যাট করছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। কিন্তু শেষ দিকে দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়ার কারণে সহজ কাজটি কঠিন হয়ে যায়। শেষ ওভারে ৯ রান তুলতে গিয়েও ১ উইকেট হারাতে হয় ‘এ’ দলকে।
শ্রীলঙ্কান বোলার রমেশ মেন্ডিসকে খেলে ১ রান নেন সানজামুল। দ্বিতীয় বলে ১ রান নেন এবাদত হোসেন। তৃতীয় বলে বাউন্ডারি মেরে দেন সানজামুল। তিন বল থেকেই চলে এলো ৬ রান। চতুর্থ বলে নিলো ১ রান। পরের বলটি ওয়াইড। ফলে দুই বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন হয় ১ রান। কিন্তু পঞ্চম বলে করুনারত্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যেতে হয় এবাদতকে।
ফলে শেষ বলে ১ রান প্রয়োজন হয় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। সানজামুল ইসলাম ওই একটি রান নিয়ে বাংলাদেশকে এনে দিলেন শ্বাসরূদ্ধকর জয়।
এর আগে মোহাম্মদ নাঈম আর অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের দারুণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় ভালোভাবেই জয়ের লক্ষ্যে এড়িয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। ওপেনার সাইফ হাসান ৫ রান করে আউট হয়ে গেলেও মোহাম্মদ নাঈম ভালোই জবাব দিতে থাকেন। ৫৯ বলে তিনি করেন ৬৮ রান।
নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ২১ রান। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা মোহাম্মদ মিঠুন ৮৭ বল খেলে করেন ৫২ রান। এছাড়া আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৪, নুরুল হাসান সোহান করেন ২৫ রান। আরিফুল হক ৭, আবু হায়দার ২, এবাদত হোসেন ১ রান করে আউট হন। সানজামুল অপরাজিত থাকেন ১১ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সামনে ২২৬ রানের স্কোর দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল। কামিন্দু মেন্ডিস ৬৭ বলে খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। প্রিয়মাল পেরেরা ৬২ বলে খেলেন ৫২ রানের ইনিংস। এছাড়া চামিকা করুনারত্নে খেলেন অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে আবু হায়দার রনি, এবাদত হোসেন এবং সানজামুল ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট। এক উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহি, সাইফ হাসান এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। এই ম্যাচ জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরলো বাংলাদেশ।