সৌদি আরবের নাজরান প্রদেশে জুনায়েদ আহমেদ নামে এক বাংলাদেশি খুন হয়েছেন। খুনিও অপর এক বাংলাদেশি। জুনায়েদকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টার সময় নিহত জুনায়েদ আহমদের আপন মামাত ভাই ও তার শ্যালকসহ তিনজন এসে বাইরে ডেকে নিয়ে যায়। কোনো বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তারা জুনায়েদকে মারতে শুরু করে। এক পর্যায়ে হাতে করে নিয়ে আসা ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই জুনায়েদ আহমদকে খুন করা হয়।
ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া জুনায়েদ আহমেদ-সিলেট ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের বানিকান্দী গ্রাম নিবাসী আব্দুল কুদ্দুসের পুত্র। তার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তারই আপন মামাত ভাই কামার গাও গ্রামের চেরাগ আলির নাতি ও আবুল হোসেনের ছেলে মিজানুর ও কুরশি গ্রামের বুরহান উদ্দিন মিলে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
রাত গভীর হলে তাকে বাসায় না পেয়ে রুমমেটরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরিচতদের ফোন দিয়েও খোঁজখবর করা শুরু হয়। তখন তাদের সাথে দুই ঘাতক মিলেও খোঁঁজার অভিনয় করতে থাকে। উপস্থিত লোকজন দুই ঘাতকের শরীরের রক্তের দাগ দেখতে পেলে তাদের সন্দেহ হয় এবং সেখানে থাকা নিহতের চাচা রহমত আলীর নির্দেশে আপন দুই ভাই সহ তিনজনকে উপস্থিত সকলে মিলে ধরে আটকিয়ে পুলিশকে খবর দেন।
বর্তমানে ঘাতকরা পুলিশের হেফাজতে আছেন। নিহতর চাচা রহমত আলী এ প্রতিবেদককে জানান, জুনেদ আহমদের শশুর বাড়ি একই উপজেলার দোলার বাজার ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সৌদি আরবে বসবাস করে আসছিলেন। তার আপন মামাত ভাই ও চাচা সশুরের ছেলে (শালাকে) তিনি নিজেই সৌদি আরবে এনেছিলেন।
ঘটনার মুল কারণ এখনও জানা যায়নি। নিহত জুনেদ আহমদ লাশ সৌদি আরবের নাজেরানের একটি সরকারি হাসপাতালের মর্গে আছেন।