শেষ বলে জয়ের জন্য ছক্কাই মারতে হতো জিম্বাবুয়ের তরুণ অলরাউন্ডার টনি মুনিয়োঙ্গাকে। কিন্তু সিঙ্গাপুরের সিদ্ধান্ত সিংয়ের অফস্টাম্পের বাইরের বলটি কাট করে ১ রানের বেশি করতে পারেনি মুনিয়োঙ্গাকে। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো সিঙ্গাপুর শিবির, আনন্দ যেনো আর বাধ মানছিল না তাদের।
অবশ্য আনন্দে ভাসবেই না কেন তারা? প্রথমবারের মতো আইসিসির পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশের বিপক্ষে জয় বলে কথা! বর্তমানে আইসিসি কর্তৃক সাময়িক নিষিদ্ধ থাকলেও, নবম দেশ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ পাওয়া দল জিম্বাবুয়েই। সেই দলকে ৪ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ সিঙ্গাপুর।
ঘরের মাঠে নেপাল ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করেছে সিঙ্গাপুর। শনিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালের কাছে পাত্তাই পায়নি সিঙ্গাপুর। তবে রোববারই জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে সিরিজ জমিয়ে তুলেছে স্বাগতিকরা। নিজেরা আগে ব্যাট করে ১৮১ রান করে সিঙ্গাপুর। জবাবে জিম্বাবুয়ের ইনিংস থামে ১৭৭ রানে।
বৃষ্টির কারণে ম্যাচ নেমে এসেছিল ১৮ ওভারে। ফলে ১৮২ রানের লক্ষ্যটি বেশ কঠিনই ছিল জিম্বাবুয়ের জন্য। তবু টপঅর্ডারদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ভালোভাবেই এগুচ্ছিলো তারা। ওপেনার রেগিস চাকাভা মাত্র ১৯ বলে করেন ৪৮ রান। অধিনায়ক শন উইলিয়ামসের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৬৬ রান।
এছাড়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান টিনোটেন্ডা মুতমবদজি করে ২৫ বলে ৩২ রান। একপর্যায়ে ১৩ ওভারেই মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান করে ফেলে জিম্বাবুয়ে। শেষের ৫ ওভারে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে করতে হতো মাত্র ৪২ রান। কিন্তু পরের পাঁচ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। ফলে হেরে যায় ৪ রানের ব্যবধানে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৮ ওভারে ১৮১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় সিঙ্গাপুর। রোহান রাঙ্গারজান ৩৯, সুরেন্দর চন্দ্রমোহন ২৩, টিম ডেভিড ৪১ ও মানপ্রিত সিং করেন ৪১ রান।