ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের রামবন জেলায় পুলিশের গুলিতে অন্তত তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্যও নিহত হয়েছেন।
শনিবার সকালের দিকে রামবনে বেসামরিক এক ব্যক্তিকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোলাগুলি হয়। জম্মু অঞ্চলের দায়িত্বরত ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেভেন্দর আনন্দ বার্তাসংস্থা পিটিআইকে বলেন, আমরা বন্দুকযুদ্ধে তিন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছি। অভিযান শেষ হয়েছে। এই অভিযানে সেনাবাহিনীর এক সদস্যও মারা গেছেন।
জম্মু পুলিশের মহাপরিদর্শক মুকেশ সিং বার্তাসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, জিম্মি দশার অবসানে অভিযানের সময় পুলিশের দুই সদস্যও আহত হয়েছেন।
শনিবার সকালের জম্মু কাশ্মীরের পৃথক তিনটি স্থানে বন্দুকযুদ্ধ ও গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর মহাসড়কে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোশাক পরে সন্ত্রাসীদের একটি দল যাত্রীবাহী একটি বাস ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। পরে শ্রীনগর মহাসড়কের রামবনে পুলিশের সঙ্গে ওই সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে।
এনডিটিভি বলছে, জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর মহাসড়কে যাত্রীবাহী চলন্ত বাসকে থামানোর চেষ্টা করেছে ২-৩ জনের একটি সন্ত্রাসী দল। শ্রীনগর মহাসড়কের রামবান জেলার বাটোটের কাছে বাস থামানোর এই চেষ্টার পর সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি শুরু হয়।
পরে ওই ব্যক্তি কিছুদূর বাস চালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশকে এ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। ওই এলাকায় সন্ত্রাসীরা একটি বাড়িতে ঢুকে একজন প্রবীণ ব্যক্তিকে জিম্মি করেন বলে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমি অন্তত দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি।’
শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর থেকে কারফিউ উঠে গেলে সেখানে রক্তবন্যা বয়ে যেতে পারে বলে বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করে দেন ইমরান খান। তার এই সতর্কতার পরদিন শনিবার জম্মু-কাশ্মীর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।