স্প্যানিশ লা লিগায় ৬ষ্ঠ ম্যাচে এসে এই প্রথম শুরুর একাদশে থেকে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচসহ আরও দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তবে দুটিতেই ছিলেন বদলি হিসেবে। এবার মূল একাদশে থেকে খেলতে নামার পর বার্সেলোনার হোম ভেন্যু ন্যু ক্যাম্পে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।
বিশেষ করে মেসি, গ্রিজম্যান এবং সুয়ারেজের একসঙ্গে জুটি বেধে মাঠে নামা দেখার জন্য সবাই উদগ্রীব হয়েইছিল বলতে গেলে। কিন্তু ম্যাচের বয়স ২৫ মিনিট পার না হতেই ন্যু ক্যাম্পে শঙ্কার কালো মেঘ। বাম পায়ের উরু চেপে মাঠের পাশেই বসে পড়লেন মেসি।
কিছুক্ষণ চিকিৎসার পর আবারও মাঠে নামেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মেসিকে আর মাঠেই নামাননি কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে। দলের সেরা তারকাকে নিয়ে আর কোনো ঝুঁকিই নিতে চাইলেন না বার্সা কোচ। তার পরিবর্তে মাঠে নামান ইনজুরি থেকে ফেরা উসমান ডেম্বেলেকে।
মৌসুমের শুরু থেকেই ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। বার্সার প্রথম চার ম্যাচ তো তিনি খেলতেই পারেননি। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে মাঠে ফেরেন তিনি। কিন্তু সেটাও ছিল পরিবর্তিত হিসেবে। এরপর গ্র্যানাডার বিপক্ষেও মাঠে নামেন ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। কিন্তু দলকে পরাজয় থেকে রক্ষা করতে পারেননি।
অবশেষে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে মাঠে নামেন ম্যাচের শুরু থেকে; কিন্তু এই ম্যাচে আবারও ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হলো তাকে। তবে মাঠে থাকার সময় মেসির অ্যাসিস্ট থেকে প্রথম গোল করেন গ্রিজম্যান।
এরপর আর্থার মেলো গোল করে বার্সাকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মেসিও খেলতে পারেননি, আর বার্সাও গোল পায়নি। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা। প্রসঙ্গতঃ ম্যাচটা ছিল বার্সার জার্সিতে মেসির ৪০০তম ম্যাচ।