Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

bd-afganএকটা সময় আফগানিস্তানের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, খুব সহজেই ১৬০-১৭০ রান পর্যন্ত চলে যাবে। ১ উইকেটেই যে ৭৫ রান তুলে ফেলেছিল রশিদ খানের দল। তখনও ১০ ওভার হয়নি। উইকেট হাতে রেখে চালিয়ে খেললে বড় পুঁজি পাওয়া অসম্ভব ছিল না।

কিন্তু দারুণ বোলিংয়ে আফগানদের টুঁটি চেপে ধরেন আফিফ-সাইফউদ্দিনরা। ফলে ভালো একটা শুরুর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান থেমে গেছে ৭ উইকেটে ১৩৮ রানে। অর্থাৎ জিততে হলে ১৩৯ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।

chardike-ad

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা বেশ ধীরেসুস্থে করেছিল আফগানিস্তান। আসলে টাইগার দুই পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন আর শফিউল ইসলাম দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছিলেন। প্রথম তিন ওভারে আফগানরা তুলতে পারে মাত্র ১২ রান।

ইনিংসের তখন দ্বিতীয় ওভার মাত্র। শফিউল ইসলামের পঞ্চম ডেলিভারিটি আকাশে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন রহমানউল্লাহ। ফাইন লেগে দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন মাহমুদউল্লাহ। রহমানউল্লাহ তখন মাত্র ২ রানে।

এরপরই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন আফগান দুই ওপেনার। আলাদা করে অবশ্য বলতে হয় হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের কথা। তিনিই মূলত টাইগার বোলারদের কোনঠাসা করে দেন। চার-ছক্কায় গরম করেন মাঠ।

ভয়ংকর এই ব্যাটসম্যানকে যখন কোনোভাবেই আটকানো যাচ্ছিল না, তখন দশম ওভারে আফিফ হোসেনের হাতে বল তুলে দেন সাকিব আল হাসান। আর বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য এনে দেন আফিফ।

তার ঘূর্ণি বলটিতে সুইপ খেলতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে মোস্তাফিজুর রহমানে সহজ ক্যাচ হন হজরতউল্লাহ। ৩৫ বলে ৬ চার আর ২ ছক্কায় আফগান ওপেনার তখন হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় (৪৭ রানে)।

এর এক বল বিরতি দিয়ে আসগর আফগানের উইকেটটিও তুলে নেন আফিফ। নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ হন শূন্য রানে। আফগানিস্তানের বিপদের শুরু তখন থেকেই।

পরের ওভারে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে (২৭ বলে ২৯) ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মোস্তাফিজ। মাত্র ৪ রান করে সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হন মোহাম্মদ নবী। এরপর আফিফের ওভারে আরও একটি উইকেট হারায় আফগানরা। এবার রানআউট গুলবাদিন নাইব (১)। ৯৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানিস্তান।

সেই ধাক্কাই আর সামলে উঠতে পারেনি সফরকারিরা। টাইগার বোলারদের চাপে পরের ব্যাটসম্যানদের কেউ আর সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। শফিকুল্লাহ ১৭ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। রশিদ করেন ১৩ বলে ১১। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল আফিফ হোসেন। ৩ ওভারে মাত্র ৯ রানে ২টি উইকেট নেন তিনি।