Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

shohagকুমিল্লা থেকে অপহরণের সাতদিন পর মো. ইয়াছিন ওরফে সোহাগ নামে এক প্রবাসীকে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার পোস্তাগোলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণকারীরা ওই যুবককে নির্যাতনের ভিডিও তার মায়ের মোবাইলে পাঠিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল।

তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অপহৃত সোহাগ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পোমকাড়া গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। গত ১২ সেপ্টেম্বর তাকে কুমিল্লা থেকে কৌশলে অপহরণ করা হয়।

chardike-ad

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াৎ হোসেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ভিকটিম ইয়াছিন ওরফে সোহাগ (৩০) সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। পরে চাঁদপুর জেলা সদরের পশ্চিম হোসেনপুর গ্রামের মৃত আবিদ মাস্টারের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে সুমন (৩৫) তার বন্ধু সোহাগকে ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে সোহাগের কাগজপত্র জমা দেয়। ১২ সেপ্টেম্বর ভিসা আনার জন্য সোহাগ বাড়ি থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বের হন। ওইদিন বিকেল ৫টায় সোহাগ তার বন্ধু সুমনের সঙ্গে ঢাকায় আছেন বলে তার পরিবারকে মোবাইলে জানান। এরপর থেকে সোহাগের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

shohagগত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে সোহাগের মোবাইল থেকে কয়েকটি ছবি ও দুটি মোবাইল নম্বর তার মায়ের মোবাইলে ইমোর মাধ্যমে পাঠানো হয়। এরপর সোহাগের পরিবারের লোকজন ওই মোবাইলে কথা বলে জানতে পারে- সোহাগকে তার বন্ধু সুমন ও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন আটক করে রেখেছে। এ ব্যাপারে সোহাগের ভাই সুজন মিয়া ওইদিন ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মামলা করেন। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর সুমন ও তার সঙ্গীরা অজ্ঞাত স্থানে একটি রুমে সোহাগকে আটকে রেখে তার হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় কয়েকটি ছবি ও নির্যাতনের ভিডিও ইমোর মাধ্যমে তার মায়ের মোবাইলে প্রেরণ করে এবং ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এলআইসি টিম ও ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশের একটি টিম সোহাগকে উদ্ধারের জন্য অভিযানে নামে।

তারা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ও বিভিন্ন সূত্র ধরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সোনারগাঁ এলাকাসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার শ্যামপুর থানা পুলিশের সহায়তায় পোস্তাগোলা ব্রিজের নিকট থেকে আহত অবস্থায় সোহাগকে উদ্ধার করে কুমিল্লা নিয়ে আসা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াৎ হোসেন জানান, সোহাগকে তার বন্ধু সুমনসহ একটি সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র পরিকল্পিতভাবে অপহরণের পর আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও তার মায়ের মোবাইলে পাঠিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে জেলা ডিবি পুলিশের ওসি মাইনুদ্দিন খান, ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি শাহজাহান কবির, ডিবি এলআইসি টিমের প্রধান এসআই মোহা. ইকতিয়ার উদ্দিন, থানার এসআই বাবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।