ইতালিতে দ্রুত নাগরিকত্ব পেতে জন্মসনদ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ভুয়া সিল এবং অনুবাদ ভুয়াসহ অন্যান্য অনিয়মের দায়ে ইতালির (নাগরিকত্ব) পাসপোর্ট হারাতে পারেন দুই হাজার আটশ বাংলাাদেশি। ইতোমধ্যে ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জালিয়াতির সাথে জড়িত বাংলাদেশিদের ব্যাপারে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এর ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন হাজার বাংলাদেশি নির্দিষ্ট সময়ের আগে অর্থের বিনিময়সহ বিভিন্ন অনিয়ম করে দ্রুত ইতালির নাগরিকত্ব (পাসপোর্ট) লাভ করেন। এর মধ্যে একটি তদন্তে বাংলাদেশের জন্মসনদ ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভুয়া সার্টিফিকেটের সত্যতা পাওয়া গেছে।
চার বছর পূর্বে এই তদন্ত শুরু হয় পরে এর সত্যতা নিশ্চিত হলে চলতি বছর এর কার্যক্রমের ব্যবস্থা নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইতালির রাষ্ট্রপ্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যের ভিত্তিতে যে সব বাংলাদেশি পাসপোর্ট জমা দেওয়ার ২৪ মাসের পূর্বে ইতালিয়ান পাসপোর্ট (নাগরিকত্ব) গ্রহণ করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিয়েছেন। অনিয়মের কারণ সঠিকভাবে ব্যাখা দিতে না পারলে নাগরিকত্ব ফেরত নেবে ইতালীয় সরকার।
এ প্রসঙ্গে সাবেক বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু জানান, দীর্ঘ পাঁচ বছর তদন্তের পর জন্মসনদ ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ভুয়া সিল দেয়ার প্রমাণ মিলেছে। যেসব বাংলাদেশি সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি জানান, প্রায় ২ হাজার ভুয়া কাগজপত্র এবং এবং ৮০০ অর্থের বিনিময়ে দ্রুত পাসপোর্ট নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশিদের এ নাগরিকত্বের ভুয়া কাগজপত্রের ব্যাপারে একটি মামলা করেন, যার মামলা নং ৪৩৮৯৮।