ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মশা নিধনের জন্য ৫ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় ২০০টি ফগার মেশিন, ১৫০টি হস্তচালিত এবং ৪০ হাজার কীটনাশক কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি। আগামী এক মাসের মধ্যে এসব জিনিস কেনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এ-সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে দ্রুততম সময়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধের জন্য ২০০টি ফগার মেশিন, ১৫০টি হস্তচালিত মেশিন এবং ৪০ হাজার লিটার কীটনাশক স্থানীয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বাজার দরে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তারা বাইরে থেকে এগুলো নিয়ে আসবে। এ বাবদ ৫ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয় হবে। এক মাসের মধ্যে এসব যন্ত্রপাতি ও কীটনাশক দেশে আসবে।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া দেশের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া থেকে রক্ষার জন্য সরকার ঘরে ঘরে যাচ্ছে। প্রথম দিকে কিছু ‘মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর সমন্বিত কাজ শুরু হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এসব ক্রয়ের জন্য টেন্ডার করলে অনেক সময় লাগবে। জাতির কথা বিবেচনা করে এ ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মশা নিধনে সিঙ্গাপুরের একটি প্রকল্প কাজে লাগানোর কথা জানিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা কয়েকটি দেশ সফর করেছে। তারা পরবর্তীতে সিঙ্গাপুর যাবে। সিঙ্গাপুরের একটি প্রকল্প আছে, মশাকে অ্যাট্রাক্ট (আকৃষ্ট) করে তারা একত্রে মারে। তারা গর্ত করে সব মশা আকৃষ্ট করে সেখানে আনে, তখন সব মশা একসঙ্গে মারা হয়। আমাদের আগে মশা তাড়ানো হতো, তাই লাভ বেশি হয়নি। আমরা দেখছি মোটামুটি পরিবর্তন আসছে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি থেকে এসব ক্রয় সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব পাইনি। উত্তর সিটি যেহেতু কিনছে, দক্ষিণও হয়তো কিনবে। মশা মারার এ কার্যক্রম সারা বছর চলবে। তিনি আরও বলেন, শীত বেশি হলে মশা এত থাকবে না। যেখানেই পানি জমবে সেখানে মশা হবে। তাই পানি যেন জমতে না পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। বড় বড় নদীতে স্রোত থাকায় সমস্যা হবে না।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ