Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

brazil-islamফুটবলের জন্য বিখ্যাত ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। জনসংখ্যার দিক থেকে দেশটির অবস্থান পঞ্চম। ২০ কোটি জনসংখ্যার এ দেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মসজিদ ও মুসলমানের সংখ্যাও। বর্তমানে দেশটিতে মুসলমানের সংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫/৬ শতাংশ। শতাংশের হারে দেশটিতে মুসলমানের সংখ্যা কম মনে হলেও সুসংবাদ হলো ফুটবলের দেশ ব্রাজিলে দ্রুত গতিতে বাড়ছে মুসলমান ও মসজিদের সংখ্যা।

১৫০০ খ্রিস্টাব্দে ব্রাজিলে প্রথম ইসলামের আগমন ঘটে। ১৯৫৮ সালে এক বক্তৃতায় ব্রাজিলিয়ান ইতিহাসবিদ জোয়াকিন দেশটিতে ইসলামের আগমনের ব্যাপারে তথ্য তুলে ধরেন। ঐতিহাসিক তথ্য মতে, বিখ্যাত পর্তুগিজ পরিব্রাজক ও আবিষ্কারক আলভারেস কারবাল যখন ব্রাজিল উপকূলে যে জাহাজ ভেড়ান, সে জাহাজে বেশকিছু সুদক্ষ, কর্মঠ ও পারদর্শী মুসলিম নাবিক ছিলেন। এদের মধ্যে শিহাবুদ্দিন বিন মাজেদ একজন।

chardike-ad

শিহাবুদ্দিন বিন মাজেদ-এর হাত ধরেই ব্রাজিলে ইসলামের পদযাত্রা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ব্রাজিলের সাওপাওলোতে প্রতি মাসে গড়ে ৬ জন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন বলে এক প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে।

১৭ লাখ মুসলমান অধ্যুষিত ব্রাজিলে বর্তমানে মসজিদের সংখ্যা প্রায় ১৩০টি। ব্রাজিলের প্রতিটি শহরেই রয়েছে মসজিদ। যেখানে ২০০০ সালে মসজিদ ৪০টির মতো সেখানে এ সংখ্যা ৪ গুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩০-এ। তাছাড়া মসজিদের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষায় রয়েছে অনেক মক্তব, মাদরাসা ও ইসলামিক স্কুল।

ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরিওতে রয়েছে সবচেয়ে বড় ইসলামিক সেন্টার। রয়েছে ইসলামিক স্কুল ও বড় মসজিদ। সাওপাওলোতে রয়েছে সবচেয়ে বড় মুসলিম কমিউনিটি। ল্যাটিন আমেরিকার এ দেশটিতে মুসলিমদের জন্য রয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন ইস্যুতে মুসলিমরা পাচ্ছে সরকারি সাহায্য ও সহায়তা।