Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

mehrunমেহেরুন নেছার (৫০)। তিনি চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বাগদাদ গ্রুপের কর্ণধার ফেরদৌস খান আলমগীরের স্ত্রী। মেহেরুনের বিরুদ্ধে খেলাপি ঋণের ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ৯ মামলায় তার সাজা হয়েছে। তার স্বামীর কাছেও বিভিন্ন ব্যাংক অন্তত ৩০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

মেহেরুন সোমবার (১৯ আগস্ট) কানাডা থেকে দেশে ফেরেন। এরপরই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ চট্টগ্রামের খুলশী থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে।

chardike-ad

চট্টগ্রামের খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী জানিয়েছেন, মেহেরুন নেছা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জহিরুল আলম দোভাষের বড় ভাই নবী দোভাষের মেয়ে। তার বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতের ১১টি মামলায় পরোয়ানা রয়েছে। এসব পরোয়ানায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেক প্রতারণার ৯ মামলায় ইতোমধ্যে মেহেরুন নেছার সাজা হয়েছে। এছাড়া একই প্রতিষ্ঠানের আরও ছয় মামলায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা রয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে চেক প্রতারণায় ১৩টি এবং অর্থঋণ মামলা দুটি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় বসবাস করায় তার নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না।

জানা গেছে, শাফিয়াল ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মেহেরুন নেছা ২০১০ সালে ফিনিক্স ফাইন্যান্স আগ্রাবাদ শাখা থেকে দুই কোটি ৫২ লাখ টাকা ঋণ নেন। এ ঋণ অল্পদিনেই খেলাপি হয়ে পড়ে। ফিনিক্স ফাইন্যান্স থেকে নেয়া ওই ঋণ বর্তমানে সুদাসলে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার ৬৭৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

ফিনিক্স ফাইন্যান্সের ওই টাকার বিপরীতে মেহেরুন নেছার বিরুদ্ধে আদালতে ৯টি মামলা দায়ের করা হয়। এক পর্যায়ে মেহেরুন নেছা কানাডায় পাড়ি জমান। এছাড়া ৩০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বাগদাদ গ্রুপের কর্ণধার ফেরদৌস খান আলমগীরের প্রায় পুরো পরিবারই কানাডায় পাড়ি জমান বলে জানা গেছে।