Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

kashmirকাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনী গত তিন দশকে ৯৫ হাজার ২৩৮ জন কাশ্মীরি স্বাধীনতাকামীকে হত্যা করেছে। ১৯৮৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ হিসাব ধরা হয়েছে। এ সময়ে সাত হাজার ১২০ জনকে কারাবন্দি রাখা হয়েছে। কাশ্মীরি গ্লোবালের এক খবর বলছে, ১১ হাজার ১০৭ নারী ভারতীয় বাহিনীর নিগৃহের শিকার হয়েছেন। এক লাখ ৯ হাজার ১৯১টি আবাসিক ভবন ও স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে।

আট হাজার কাশ্মীরিকে কারা হেফাজতে নেয়ার পর এখন পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। কেবল চলতি বছরেই পিএইচডি গবেষক, প্রকৌশল বিদ্যার শিক্ষার্থীসহ ৩৫০ কাশ্মীরিকে হত্যা করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

chardike-ad

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- হুররিয়াত নেতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাফি ভাট, ড. মান্নান বসির ওয়ানি, ড. সবজার আহমাদ সোফি, ড. আবদুল আহাদ ঘানি, এমফিল গবেষক আদিমাদ ফয়েজ মালি, ২৪ বছর বয়সী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইশা ফাজালি, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী সাইয়েদ ওয়াশি সফি শাহ, আসিফ আহমেদ মালিক, মীর হাফিজুল্লাহ, তারিক আহমেদ ঘানি।

এ বছরেই শিশু, তরুণ, শিক্ষার্থী, নারী ও হুররিয়াত নেতাসহ দুই হাজার ৩৪৮ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রতিরোধ নেতা সাব্বির আহমাদ শাহ, নাঈম আহমেদ খান, সাইয়োদ আসিয়া আন্দ্রাবি, ফেহমিদা সোফি, নাহিদা নাসরিন, আলতাফি আহমেদ শাহ, আইয়াজ মুহাম্মদ আকবর, পীর সাইফুল্লাহ, রাজা মেরাজুদ্দিন কালওয়াল, শাহিদুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ ধর, মুহাম্মদ আসলাম ওয়ানি, ব্যবসায়ী জহুর ওয়াতালি, সাঈয়েদ শহীদ শাহ, গুলাম মুহাম্মদ ভাটকে দিল্লির তিহার কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া বহু কাশ্মীরি ভারতের বিভিন্ন কারাগারে ধুঁকে ধুঁকে মরছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৮ জুলাই স্বাধীনতাকামী তরুণ নেতা বুরহান ওয়ানিকে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হয়।