Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

savarঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তখন তীব্র যানজট। কিন্তু সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি। অথচ পাশেই রয়েছে পুলিশ বক্স। পুলিশ বক্সের ভেতরে টেবিল-চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক কর্মকর্তা। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে এমন চিত্র দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পুলিশ বক্সের ভেতরে দুপুরের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) আবেদ খান। তখন মাঠের দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান তার অধীনস্থ ট্রাফিক পুলিশের অন্য সদস্যরাও। ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

chardike-ad

এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা ওই ট্রফিক পুলিশের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ঘুম থেকে উঠে পুলিশ বক্স থেকে বের হয়ে বাইরে চলে যান। এরপর ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা আবেদ খান মহাসড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে গাড়ি রাখার সুবিধা দিয়ে এক এক করে প্রতিটি গাড়িতে যাত্রী উঠানোর সুযোগ করে দেন। এজন্য বিভিন্ন পরিবহন থেকে মোটা অংকের টাকা নেন তিনি।

বাসচালকরা জানান, আমাদের মালিক পক্ষ টিআই আবেদ খানের সঙ্গে কথা বলেছেন। টিআই আবেদ খানের সঙ্গে কথা বলে ‘রাজধানী সুপার সার্ভিসের’ গাড়িগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে।

অন্য বাসচালকরা অভিযোগ করেন, এভাবেই বিভিন্ন যানবাহনকে ট্রাফিক পুলিশ চাঁদার বিনিময়ে বিশেষ সুবিধা দেয়। ফলে মহাসড়কে চলাচলকারী অন্যান্য যানবাহনকে কৃত্রিম যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সেই সঙ্গে সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

এ বিষয়ে জানতে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা (টিআই) আবেদ খানের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। পুলিশ বক্স ছেড়ে বাইরে চলে যাওয়ার দীর্ঘ সময় পার হলেও ফিরে আসেননি তিনি।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ