Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ায় চলছে গ্রীষ্মকালীন ছুটি। আর এই ছুটিকে কোনো মতেই হাতছাড়া করতে রাজি নন এখানে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রতিবারের মতো এবারো গ্রীষ্মকালীন মিলনমেলার আয়োজন করে ইপিএস বাংলা কমিউনিটি। তবে এবার কোরিয়ার নয় বিশ্বের বুকে ইতিহাস গড়ে কোরিয়ার সমুদ্রপাড়ে গড়ে উঠলো এক টুকরো বাংলাদেশ।

রবিবার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত ৩৪টি বাসযোগে এক হাজার ৫০৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশি ঢেউয়ের তালে গা ভাসিয়ে দিতে দেশটির পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান খিয়ংফো ও জুমুনজিন সমুদ্র সৈকতের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

chardike-ad

korea-tour

এই কমিউনিটি সংগঠন কোরিয়ার গত বছর খাংউন প্রদেশের সা মাংসাং সি বিচ ও জংদেংজিন সানকুরুজ পার্কে ৭৫০ জনকে নিয়ে গ্রীষ্মকালীন মিলনমেলার আয়োজন করেছিল। এবার এই গ্রীষ্মকালীন মিলনমেলায় গতবারের দ্বিগুণেরও বেশি লোক অংশগ্রহণ করেন। বিদেশের মাটিতে এত বড় মিলনমেলার আয়োজন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল ইপিএস বাংলা কমিউনিটি।

পনেরশ লোক সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে মাথায় দেশের পতাকা বেঁধে এক স্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। সবার গায়ে ছিল পতাকাময় সবুজ টি-শার্ট, আর যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা লাল টি-শার্ট পরিহিত ছিলেন। দুটি রঙে তৈরি হলো ছোট একটি বাংলাদেশ। জাতীয় সংগীতের পরে এক পশলা বৃষ্টি নামে নামে লাল সবুজের মানব পতাকার উপর। সবাই সমুদ্রের ঢেউরে ছন্দে যে যার মতো দোল খেলছে। কর্মব্যস্ত জীবনে এইটুকু মুহূর্তের আনন্দ যেন প্রবাসজীবনে সব দুঃখকে মুছে ফেলে দেয়।

korea-tourএই মিলনমেলার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলদেশ দূতাবাসের কর্মাশিয়াল কাউন্সিলর মাসুদ রান চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রধান অতিথি এত বড় আয়োজন দেখে মুগ্ধ হন। তিনি আয়োজনকারীদের ধন্যবাদ জানান এবং দূতাবাসের হয়ে সবার জন্য নিরলসভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

বিকালে অনুষ্ঠিত হয় জমকালো কনসার্ট। সুরের তালে মঞ্চ মাতালেন বাংলাদেশ থেকে আগত কণ্ঠশিল্পী ক্লোজআপ ওয়ান খ্যাত সাব্বির ও ভারতের জি বাংলা প্রচারিত সঙ্গীত বিষয়ক রিয়েলিটি শো সারেগামা খ্যাত অবন্তি সিঁথি। যদিও নাম অবন্তী সিঁথি তবে শিস কন্যা নামেই পরিচিত তিনি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, কোরিয়ার তরুণী খাং মিন জি ও কিম সু বিন-এর দেশাত্মবোধক বাংলা গানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো পর্যটককেন্দ্র। এই মিলনমেলার পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান হানপাস, কেবিজোন ও সুমাইয়া টেক।

সবার সহযোগিতা এবং স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানান ইপিএস কমিউনিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান খান আসাদ। অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানটিকে সফল করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

নাগরিক সুবিধা ও উন্নত জীবনধারার জন্য প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার সুখ্যাতি রয়েছে। উত্তর-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন।

লেখক- মোহাম্মদ হানিফ, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে