মালিঙ্গা আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন যে, আজকের ম্যাচটি ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার শেষ ম্যাচ। তাই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডও তাকে সম্মানজনকভাবে বিদায় জানানোর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। মাঠে মালিঙ্গাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। ম্যাচ শেষে তার হাতে বিদায়ী ক্রেস্ট ও ট্রফি তুলে দেয়া হয়।
মালিঙ্গার জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো তিনি জয়ের স্মৃতি নিয়ে বিদায় নিতে পেরেছেন। ইনিংসের প্রথম ওভারে তামিম ইকবালকে ফেরানোর পর নবম ওভারে সৌম্যকে ফেরান মালিঙ্গা। শুরুতে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামানোর পর শেষ উইকেটটি নিয়ে শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও মালিঙ্গা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চালিয়ে যাবে। েএর আগে ২০১১ সালে তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন।
লাসিথ মালিঙ্গা বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এটাই আমার বিদায় নেয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। গত ১৫ বছর ধরে আমি শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলেছি। সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি। উচ্ছ্বসিত সব দর্শকদের সামনে খেলতে পেরে ভালো লাগছে। আমি মনে করি, এখনই সামনে এগিয়ে যাওয়ার আসল সময়। ২০২৩ বিশ্বকাপের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। জয় পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দলটি তরুণ। আমার ক্যারিয়ারে সবসময়ই অধিনায়ক আমার কাছ থেকে উইকেট প্রত্যাশা করেছে। আমি সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। যে কারণে আমি সফল হয়েছি।’
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন মালিঙ্গা। সাত ম্যাচ খেলে ১৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে মোট তিন ম্যাচে জয় পায় লঙ্কানরা।
ওয়ানডে ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার তৃতীয় সেরা উইকেটশিকারি বোলার হিসাবে ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন মালিঙ্গা। ক্যারিয়ারে ২২০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে তার উইকেট সংখ্যা ৩৩৮। ৫২৩ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। আর ৩৯৯ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন চামিন্দা ভাস।
শুক্রবার কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে ৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সিরিজের পরবর্তী ম্যাচ ২৮ জুলাই। শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৩১ জুলাই।