মার্কিন নিউজ নেটওয়ার্ক সিএনএন বলছে, গত বুধবার মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা-উৎক্ষেপণ করেছে ইরান। সিএনএন এর পেন্টাগন প্রতিনিধি বারবারা বৃহস্পতিবার রাতে এক টুইট বার্তায় মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানান।
তিনি ওই টুইট বার্তায় বলেন, ‘ইরান বুধবার দিনের শেষ ভাগে মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। যেটা ১ হাজার কিলোমিটার দূরের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে শাবাব-৩ ক্ষেপণাস্ত্রটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি এবং জাহাজ চলাচলের জন্য হুমকি তৈরি করতে পারেনি।’
সিএনএন এর ওই প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদন জানান, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতার বিষয়ে গৃহিত পদক্ষেপ সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখার অংশ হিসেবেই পেন্টাগনের এই গোয়েন্দা নজরদারি। তবে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
ইরান আগে থেকেই বারবার বলে আসছিল তারা কোনো দেশবে হুমকি দেয়ার জন্য তাদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে না তারা এটা করছে প্রতিরক্ষার উদ্দেশে। কোনো দেশ অবৈধভাবে তাদের ওপর হামলা চালালে যেন দেশকে রক্ষা করতে পারে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ সিএনএন-কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘ইরান কখনোই যুদ্ধ শুরু করতে চায় না কিন্তু যেকেনো ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরান কখনোই কোনো যুদ্ধ শুরু করবে না আর একক ভাবে তো নয়ই। কিন্তু যারাই ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাইবে আমরা তা প্রতিরোধ করতে চাই। আমেদের দিক থেকে তো এটা কখনোই নয়।’
গত বছর ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির করা পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয় চুক্তি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার নিজের দেশকে প্রত্যাহার করে নিলে তেহরান-ওয়াশিংটন উত্তেজনা শুরু হয়। শুধু চুক্তি থেকে দেশকে প্রত্যাহার নয় পুরাতন অবরোধ ফিরিয়ে আনাসহ নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন।
এ ছাড়া গত মে-জুন মাসে পারস্য উপসাগরে ছয়টি তেল ট্যাঙ্কারে হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করলে উত্তেজনা চরমে রুপ নেয়। মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোসহ সামরিক উপস্থিতি বাড়ায় ট্রাম্প প্রশাসন। সর্বশেষ ব্রিটিশ তেল ট্যাঙ্কার আটক করা নিয়ে লন্ডনেরও সঙ্গেও উত্তেজনা বেড়েছে তেহরানের।