ভারতে আসামের জেলা প্রশাসন ৩০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সীমান্তের অপর প্রান্তে বিজিবির হাতে তুলে দিয়েছেন। যারা বেশ কয়েকমাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে এই ৩০ জন বাংলাদেশিকে জকিগঞ্জে বিজিবির হাতে তুলে দেয়া হয়। খবর: বিবিসি বাংলা
আসাম পুলিশ জানায়, ‘ডিপোর্ট’ বা বহিষ্কার করা এই ৩০ জনের সবাই অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিলেন। আর সেই অপরাধে জেল খাটার পর বাংলাদেশে তাদের ঠিকানা ও পরিচয় যাচাই করেই এদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশের জকিগঞ্জ সার্কলের পুলিশ কর্মকর্তারাও এই ডিপোর্টেশনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই আসামের সুতারকান্দি সীমান্ত চেকপোস্ট পেরিয়ে ২১জন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারত থেকে ডিপোর্ট করা হয়েছিল। তার আড়াই মাসের মধ্যে এদিন করিমগঞ্জ থেকে আবার ৩০জন বাংলাদেশিকে নিজের দেশে ফেরত পাঠানো হলো, যাদের মধ্যে ২৬জন মুসলিম ও চারজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
এরা সবাই আসামের শিলচর, কোকরাঝাড়, গোয়ালপাড়া, তেজপুর বা জোড়হাটের বিভিন্ন বিদেশি ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন। তারপর বাংলাদেশ উপদূতাবাসের মাধ্যমে সে দেশে তাদের নাম-ঠিকানা যাচাই করেই বৃহস্পতিবার এই ডিপোর্টেশন সম্পাদিত হয়।
করিমগঞ্জ জেলার পুলিশ প্রধান মানবেন্দ্র দেবরায় বলেন, এদিন (বৃহস্পতিবার) বেলা এগারোটা নাগাদ করিমগঞ্জে পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের (পিসিআইপি) মাধ্যমে এই বিদেশি নাগরিকদের আমরা সীমান্তের ওপারে জকিগঞ্জ বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিজিবি-র হাতে তুলে দিয়েছি। এরা কেউ দুবছর, কেউ বা হয়তো তিন বছর আগে বেআইনিভাবে ভারতে ঢুকেছিলেন।
তিনি বলেন, যখনই আমরা অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরতে পারি এবং জেরার মুখে তারা স্বীকার করে যে তাদের আসল বাড়ি ধরা যাক মৌলভীবাজারের অমুক গ্রামে, তখনই আমরা স্থানীয় বাংলাদেশ মিশন ও বিজিবি-কে সেই তথ্যটা জানাই। তারপর বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এনকোয়ারি করে যখন আমাদের জানান যে হ্যাঁ, ওই লোক আমাদেরই – তখন আমরা তাদের যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
এদিকে বাংলাদেশে সিলেট ডিভিশনে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: হাবিবুর রহমান হাওলাদারও ৩০ জন নাগরিককে হাতে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদের সবাইকে এখন নিজ নিজ অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।