Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

mobile-suctomerদেশের তরুণদের ‘নো মোবাইল ফোন ফোবিয়া’ (নোমোফোবিয়া) বা মোবাইল ফোন আসক্তি কমাতে নতুন আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে ইতালি। দেশটির ক্ষমতাসীন ফাইভ স্টার মুভমেন্টের (এম৫এস) দল মোবাইল আসক্তি প্রতিরোধে নতুন এ বিল আনছে।

গত জুনে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইতালির ৬১ শতাংশ নাগরিক বিছানায় শুয়ে তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। পরিসংখ্যানের ভয়ংকর দিকটি হলো, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের ৮১ শতাংশ তরুণ-তরুণী এমনটাই পছন্দ করেন।

chardike-ad

ইতালির ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব টেকনোলজিক্যাল ডিপেন্ডেন্স এক গবেষণার বরাত দিয়ে বলছে, দেশটির ১৫ থেকে ২০ বছরের বেশিরভাগ তরুণ দিনে কমপক্ষে ৭৫ বার মোবাইল ফোন হাতে নেয়।

নতুন আইনে ফোন না থাকার উদ্বেগ বা ফোন থেকে দূরে থাকার আশঙ্কাকেই নোমোফোবিয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বাবা-মায়ের জন্য একাধিক অ্যাডুকেশন প্রোগ্রামের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। শুধু বিদ্যালয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলোর ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে নতুন আইনে।

নোমোফোবিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে বেশকিছু উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। যেমন- মোবাইলের কাছ থেকে দূরে থাকলে চিন্তিত হয়ে পড়া, অস্থিরতায় ভোগা, কোনো কাজে বা কারো কথায় মন না দিতে পারা, কেউ কল দিলো কিনা বা বার্তা পাঠালো কিনা তা একটু পরপর ফোন হাতে নিয়ে দেখা, ফোন ভাইব্রেশন সিনড্রোম বা মোবাইলের কম্পন বারবার অনুভব করা, ফোন না থাকলে নিজেকে একা মনে হওয়া, হতাশ হয়ে পড়া ইত্যাদি।

পৃথিবীতে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সাধারণ মোবাইল ফোনের পাশাপাশি বাড়ছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণা অনুসারে, বর্তমানে শুধু আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, যাদের ৫০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী। এছাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৬.৮ বিলিয়ন মোবাইল ফোন গ্রাহক রয়েছে।