ওয়ানডে বিশ্বকাপটা একদমই ভালো যায়নি। লজ্জার ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি ৯টি ম্যাচ হেরে দেশে ফিরেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। ব্যর্থতার দায়স্বরূপ অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে গুলবদিন নাইবকে।
তার জায়গায় তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই অধিনায়কত্ব দেয়া হয়েছে তরুণ লেগস্পিনার রশিদ খানকে। দলের অন্যতম সেরা পারফরমারকে দায়িত্ব দিয়ে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে ভালো কিছুর আশাই করছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
একই কথা বলছেন নব নিযুক্ত অধিনায়কও। তবে তার মতে পরবর্তী বিশ্বকাপের আগে যথাযথ প্রস্তুতি প্রয়োজন তাদের দলের। জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নানান বিষয়ে কথা বলেছেন রশিদ।
যেখানে পরবর্তী বিশ্বকাপটিকে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই! ২০২৩ সালের বিশ্বকাপটি আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আগেও যেমনটা বলেছি আমাদের ট্যালেন্ট, স্কিলের কমতি নেই। তবে আমাদের আরও উন্নতি প্রয়োজন। আমাদের বুঝতে হবে কীভাবে বড় দলের বিপক্ষে খেলতে হয়। কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। আমরা দেখেছি এবারের বিশ্বকাপে আমাদের প্রস্তুতি যথাযথ ছিল না।’
তবে এসময় তিনি জানিয়ে দেন এখনই ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ নিতে ভাবতে রাজি নন। এর চেয়ে বরং আগামী বছর অস্ট্রেলিয়াতে বসতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকেই বেশি মনোযোগ তার। আফগানিস্তানের নতুন অধিনায়কের বিশ্বাস, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারবে তার দল।
রশিদের ভাষ্যে, ‘২০২৩ সালের বিশ্বকাপ তো অনেক দূরে। এখন আমাদের মনোযোগ ও লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে। আমি মনে করি আমরা দেখাতে পারব যে আমরা কত ভালো দল, দেখাতে পারব আমরা কতটুকু পারি। গত বিশ্বকাপের সঙ্গে তুলনা করলে আমরা আমাদের সেরা দলটা পাব আশা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখন শুধু দিনকে দিন উন্নতি করতে হবে। অতীতে যতো ভুল করেছি সেগুলো কমিয়ে আনতে হবে। আমাদের সামর্থ্য আছে, স্কিলের কমতি নেই। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে সেরা একটি দল রয়েছে। আমাদের সেরা প্রস্তুতিটা নিতে হবে।’
এসময় বড় দলগুলোর বিপক্ষে বেশি বেশি খেলার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন আফগান অধিনায়ক, ‘একইসঙ্গে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এগুতে হবে। আমি মনে করি বড় দলগুলোর বিপক্ষে যত বেশি খেলব, আমাদের উন্নতি তত হবে। তাদের বিপক্ষে যত খেলব, সিরিজে মুখোমুখি হব, আমাদের ক্রিকেট তত উন্নত হবে।’