যুক্তরাষ্ট্রে কাগজপত্রবিহীন বা অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশিদের মাঝে আতঙ্ক বেড়েছে। নিউ ইয়র্ক লস, এঞ্জেলেস ও শিকাগোসহ যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় ৯টি শহরে রোববার থেকে কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে।
বহিষ্কারাদেশ পাওয়া ২ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে ধরে ফেরত পাঠানোই এ অভিযানের মূল লক্ষ্য। ইতোমধ্যে কিছু কিছু বাংলাদেশি অভিবাসীও চিঠি পেয়েছে বলে জানা গেছে। মাইক ও সালিভানের রিপোর্ট থেকে তথ্য নিয়ে বাংলাদেশি অ্যাটর্নি ও অভিবাসন কর্মীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশি কমিউনিটির অশোক কর্মকার মনে করেন, এ অভিযানের উদ্দেশ্য ভীতি সঞ্চার ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করা।
তিনি বলেন, সবকিছু মিলিয়ে এই অভিযান থেকে মনে হচ্ছে এটা অনেকটাই রাজনৈতিক চাল। বিভিন্ন সিটিগুলোতে আইনত যারা যুক্ত অফিসিয়াল স্টেট, তারা কিন্তু এই অভিযানে সম্পৃক্ত নন। এই অভিযানে অংশ নিচ্ছেন না তারা।
অশোক কর্মকার আরও বলেন, যে এজেন্টরা এই অভিযানে নিযুক্ত তারা বিভিন্ন সিটিতে অভিযান চালানোর সময় প্রত্যেক জায়গায় প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন এবং অভিযান চালাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এক ধরনের গণপ্রতিরোধ গড়ে উঠছে বিভিন্ন জায়গায়। কতটুকু সফল হবেন বা হবেন না সেটা নিয়ে চিন্তা না করে শুধু প্যানিক ছড়ানো হচ্ছে।
অভিবাসন কর্মী, বাংলাদেশি আমেরিকান কাজী ফৌজিয়া যারা কাগজপত্রবিহীন অবস্থান করছেন তাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সব বাংলাদেশিদের কাগজপত্র ঠিক রাখতে বলেছেন এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রতি বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি, জুন-জুলাইয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এ রকম একটি অভিযান পরিচালিত হয়। প্রতিটি সরকারের সময়ই এ রকম অভিযান চলে। এগুলো তাদের রেগুলার কর্মসূচির অংশ। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ঠিক এই জিনিসটাকেই খুব প্যানিকভাবে ছড়াচ্ছে। তিনি যে টুইট করেছেন, সেখানে বলছেন, ৯টি সিটিতে ৭ দিনব্যাপী অভিযান চলবে।
কাজী ফৌজিয়া আরও বলেন, বাংলাদেশি কাগজপত্রবিহীন অনেক অভিবাসী রয়েছে। বর্ডার ক্রস করার হার বাড়ছে। তাই এ রকম সংখ্যাটাও বাড়ছে। কিছু বাংলাদেশি অভিবাসীর বাসায় গিয়ে এজেন্টরা নক করেছে কিন্তু তারা চুপ করে ছিলেন। আর চিঠি পাওয়ার সংখ্যা তো অনেক। প্রায় চার-পাঁচজন চিঠি পেয়েছেন কিন্তু তারা দেখা করেননি।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ