সামিরা আফরিন। চীনের সুজো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএস ও ইন্টার্ন শেষ করে কুয়েতের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। ঢাকার গোপীবাগের মেয়ে সামিরা দেশে ফিরে অসহায় মানুষের সেবা করতে চান। সামিরার বাবা মোহাম্মদ ইলিয়াস ১৯৮৮ সালে জীবিকার তাগিদে কুয়েতে আসেন।মা রওশন আক্তার আসেন ১৯৯৩ সালে। বড় মেয়ে সামিরা আফরিন, ছোট মেয়ে জেরিন আনজুমের জন্ম হয় কুয়েতে। স্বামী ও সংসারের দেখাশোনার পাশাপাশি রওশন আক্তার ইন্টিগ্রেটেড ইন্ডিয়ান একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
কুয়েতের ইন্ডিয়ান স্কুলে পড়াশোনা করে দুই মেয়ে সামিরা ও জেরিন। জেরিন ইন্টিগ্রেটেড ইন্ডিয়ান স্কুলে টুয়েল্ভ (ইন্টার) ক্লাসে পড়ছেন। ২০১২ সালে কুয়েতের আব্বাসিয়া ইন্ডিয়ান সেন্টাল স্কুল থেকে সামিরা আফরিন উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর মেডিকেলে পড়াশোনা করতে ২০১৩ সালে চলে যান চীনে। সেখানে সামিরা ভর্তি হন সুজো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। চলতি বছরে সামিরা এমবিবিএস ও ইর্ন্টান কোর্স শেষ করে গত ১২ জুলাই কুয়েতে আসেন।
সামিরা আফরিন বলেন, ‘প্রথমে আমি কৃতজ্ঞ আমার বাবা-মায়ের প্রতি। তারা আশীর্বাদ ও পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আমাদের দুই বোনের জন্য। ডাক্তারি লাইসেন্স পরীক্ষাসহ কিছু পরীক্ষা রয়েছে সেটা শেষ করার পর আমি বাংলাদেশে ফিরে যাব। দেশে ফিরে দুস্থ ও অসহায় মানুষদের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে চাই।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমার ইচ্ছা আছে ইউকেতে (যুক্তরাজ্যে) নিউরোলজিস্টের ওপর পড়াশোনা করা। আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পোঁছাতে পারি। মাবনসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে পারি।’
সামিরার রওশন আক্তার বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকা, ঠিকঠাক মতো দেখাশোনা করা, ছেলে-মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়া খুবই কষ্টকর। তবে দেখা যায়, বেশিরভাগই কাছে ব্যস্ত থাকে, টাকার পিছে দিনরাত ছুটতে থাকে। সম্পদ বাড়ানোর চেষ্টায় থাকে। আসলে একজন বাবা-মায়ের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো তার সন্তান। তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা সব অভিভাবকের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। অন্য সম্পত্তির দিকে ছুটতে ছুটতে আমরা অনেক সময় আসল সম্পত্তির দিকে খেয়ালই রাখি না।’