কেউ চেয়েছেন রংপুর, কেউ আদাবর। নানা বিতর্কের পর অবশেষে বনানীর সামরিক কবরস্থানেই দাফন করা হবে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মরদেহ। এরশাদ মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই জি এম কাদের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে এরশাদের মৃত্যুর আগেই সম্প্রতি প্রেসিডিয়াম সদস্যদের এক বৈঠকে তার দাফন নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা হয়। সেখানে এনিয়ে মতবিরোধও হয়। এ সময় দাফনের বিষয়ে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘এরশাদ স্যার যদি পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন, তাহলে তার পবিত্র সমাধি কোথায় হবে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এক্ষেত্রে আমাদের একমাত্র দাবি, রংপুরের পল্লীনিবাসে তার সমাধি করা হোক।’
সভায় উপস্থিত অধিকাংশ নেতা পাবলিক প্লেসে (আজিমপুর অথবা অন্য কোথাও) জায়গা কিনে সেখানে এরশাদের কবর করার পক্ষে মত দেন। যদিও কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, এরশাদ সেনানিবাস অথবা আসাদগেটের বিপরীতে সংসদ প্রাঙ্গণে তার কবরের কথা বলেছেন।
বৈঠকে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সফিকুল ইসলাম সেন্টু মোহাম্মদপুরের আদাবরে জায়গা কিনে কবর দেয়ার প্রস্তাব দেন। তবে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আদাবরে জায়গা না পাওয়া গেলে সাভারে আমার নিজস্ব জায়গা থেকে দুই বিঘা জমি এরশাদের কবরস্থানের জন্য লিখে দেব।’ তবে পরিবার ও এরশাদের ইচ্ছা অনুযায়ী বনানীর সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
আজ রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ৯০ বছর বয়সী এরশাদ রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ২২ জুন সিএমএইচে ভর্তি করা হয় তাকে। এর আগেও তিনি একাধিকবার দেশ-বিদেশে চিকিৎসা নেন।