Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

brazilদীর্ঘ এক যুগ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুললো ব্রাজিল। এর আগে সেলেসাওরা ২০০৭ সালে সর্বশেষ এই শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল। ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত আসরের শিরোপা জিততে পেরুকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে তিতের দল। রোববার (৭ জুলাই) দিবাগত রাতে রিও ডি জেনেরিও’র ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকা ২০১৯ এর ফাইনালে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক ব্রাজিল ও পেরু।

ম্যাচের প্রথম সুযোগ পেয়েই গোল করে ব্রাজিল। ম্যাচ শুরুর মাত্র ১৫তম মিনিটেই ডান প্রান্তে ফাঁকা খুঁজে নেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। সুযোগ বুঝে দারুণ এক ডেলিভারিতে বল পেরুর গোল পোস্টের দূরের প্রান্তে থাকা এভারটনের দিকে বাড়িয়ে দেন এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। সেখানে আন-মার্ক থাকা মিডফিল্ডার এভারটন দারুণ দক্ষতায় বল জালে জড়িয়ে দেন। পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল আর উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো মারাকানা স্টেডিয়াম।

chardike-ad

brazil

জয়ের পর ব্রাজিল দলের উল্লাসপ্রথমার্ধের শুরুতে ১-০ গোলে পিছিয়ে যাওয়া পেরু পেনাল্টি গোলে সমতায় ফিরেছিল। কিন্তু তাদের সেই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হতে দেয়নি ব্রাজিল। দুর্দান্ত গোলে সেলেসাওদের লিড এনে দেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস।

সমতায় ফিরে তখনও নিজেদের রক্ষণ ঠিকমতো গুছিয়েও উঠতে পারেনি পেরু। ব্রাজিলের মিডফিল্ডার আর্থার প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের (ইউতুন) কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে দৌড় শুরু করেন আর সুবিধাজনক অবস্থানে পেয়ে যান জেসুসকে। আর পেরুর গোলরক্ষক গ্যালেসেকে বোকা বানিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জড়িয়ে দেন এই লিভারপুল স্ট্রাইকার।

গোলের পর ফিরমিনো-কৌতিনহোর উল্লাসম্যাচের তৃতীয় গোলটির ঠিক ২ মিনিট আগেই ব্রাজিলের ডি-বক্সে পেরু’র কুয়েভা’র লো ক্রস ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার থিয়েগো সিলভার হাতে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজালেও ব্রাজিলিয়ানদের আপিলে সাড়া দিয়ে একবার ভিডিও রেফারির সহায়তা নিলেও নিজের আগের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন রেফারি। গুয়েরেরোর আলতো স্পট কিক ঠেকাতে পারেননি লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক আলিসন।

brazilম্যাচের ৭০তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিল। বল দখলের লড়াই করতে গিয়ে পেরুর জামব্রানোকে কনুই দিয়ে ধাক্কা দেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ফলাফল ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তথা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। এর আগে প্রথমার্ধের ৩০তম মিনিটেও বল দখলের তাড়ায় ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখতে হয় তাকে। ১০ জনের ব্রাজিলকে বেশ ভালোই চেপে ধরেছিল পেরু। তবে ব্রাজিলের শক্ত রক্ষণ ভাঙতে পারেনি দলটি। ব্রাজিলও দ্বিতীয়ার্ধে কমপক্ষে ৩টি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে। কৌতিনহো ১বার আর রবার্তো ফিরমিনো দু’বার গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল পোস্টের বাইরে মেরেছেন।

তবে খেলার একদম অন্তিম মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে পেরুর কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ব্রাজিলের রিশার্লিসন। এভারটনের দুর্দান্ত আক্রমণ সামলাতে গিয়ে তাকে ফাউল করে বসেন জামব্রানো। রেফারি ভিএআর’র সহযোগিতা নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজালে তা থেকে গোল করতে কোনো অসুবিধাই হয়নি রিশার্লিসনের।

এবার নিয়ে রেকর্ড নবম শিরোপা জিতলো ব্রাজিল। আর স্বাগতিক হিসেবে এই নিয়ে পঞ্চমবার। টুর্নামেন্টের আগেই দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমারকে হারালেও খুব কমই টের পাওয়া গেছে তার অনুপস্থিতি। কৌতিনহো, জেসুস, ফিরমিনোদের দলগত পারফরম্যান্সে যোগ্য দল হিসেবেই শিরোপার স্বাদ নিল সেলেসাওরা।