‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় ফের এক মাদরাসা ছাত্রকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্বিমবঙ্গ রাজ্যেল পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ায়। ১১ বছর বয়সী কিশোরের জানায়, বুধবার বিকেলে চার যুবক পথ আটকে তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য চাপ দেয়। রাজি না হওয়ায় তাকে মাটিতে ফেলে মারা হয়। বৃহস্পতিবার তার বাবা নিতুড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার তদন্ত হচ্ছে বলে জানালেও ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
মারধরের শিকার ছাত্রটি জানায়, এক বন্ধুকে বাসে তুলে দিয়ে সে মাদরাসায় ফিরছিল সে। সে সময় তার পথ আটকায় চার যুবক। প্রথমে পরিচয় জানতে চায়। তার পর ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য চাপাচাপি করে। তার অভিযোগ, ‘ওদের কথা না শোনায় লাথি, ঘুষি মারে। কাকুতি-মিনতি করছিলাম। শোনেনি। পরে ওদের এক জন বলল, ‘খারাপ কিছু হলে ফেঁসে যাব’। তার পরে মার থামে।’ ওই মাদরাসার একজন শিক্ষক বলেন, ‘রাত পর্যন্ত ঘুমোচ্ছে না দেখে ছেলেটাকে ডেকে কথা বলি। তখনই জানলাম, ওর ওপর হামলা হয়েছে।’ ছেলেটিকে পরদিনই বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান তার বাবা। তিনি বলেন, ‘কোন ভরসায় মাদরাসায় ছেলেকে রাখব? যদি আরও খারাপ কিছু হয়! বাড়ি ফিরেও ছেলে ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে।
মাসখানেক আগে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে এক ব্যক্তিকে এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর এক মাদ্রাসা শিক্ষককেও ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় মাধরের অভিযোগ ওঠে। কয়েকদিন আগে মুম্বাইতে এক ট্যাক্সি ড্রাইভারকের ‘জয় শ্রীরাম’ না বলার কারণেও মারধর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় কোন আইন ব্যবস্থা নেয়া না হলেও রাজনীতিকদের পাল্টাপাল্টি দোষারোপ চলছেই। এই ঘটনার জেরে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর বলেন, ‘বিজেপি উগ্র হিন্দুত্বের জিগির তুলে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, ‘বিজেপির ভাবমূর্তিতে কালি ছিটাতে তৃণমূল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।’