পশ্চিমা বিশ্বে দিন দিন ইসলাম বিদ্বেষ বেড়েই চলেছে। কোথাও মসজিদে হামলা হচ্ছে আবার কোথাও অগ্নিসংযোগসহ ছুড়ে ফেলা হচ্ছে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআনুল কারিম। আর এসব আক্রমণাত্মক ঘটনাগুলোর পেছনে মূল কারণ হলো ইসলামের সুন্দর অগ্রযাত্রায় তাদের হিংসাত্মক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
গত শনিবার সুইডেনের গোথেনবার্গ শহরের একটি হাসপাতালে মুসলিমদের প্রার্থনার জন্য নির্ধারিত কক্ষটিও হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ইসলাম বিদ্বেষীদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে মুসলিমদের উপসনালয় মসজিদ ও পবিত্র গ্রন্থ কুরআন। খবর ডেইলি সাবাহ।
গোথেনবার্গ মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানায়, গোথেনবার্গের মোল্নডাল হাসপাতালে (Molndal Hospital) মুসলমানদের ইবাদতের জন্য নির্ধারিত স্থানে হামলা চালানো হয়। ইসলাম বিদ্বেষী অপরাধীরা মসজিদের কার্পেট ও সেখানে রক্ষিত পবিত্র কুরআন ছুড়ে ফেলে অবমাননা ও ক্ষতি করে। ইসলাম ও মুসলমানদের এ পবিত্র স্থানকে তারা পানশালা বিবেচনায় সেখানে বসে তারা মদ বা বিয়ার জাতীয় পানীয় গ্রহণ করে।
এ ঘটনায় মুসলমানরা আন্তরিকভাবে আহত হয় এবং অনেকেই বিক্ষুদ্ধ হয়ে পড়ে। গোথেনবার্গের এ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুসলিম রোগীদের সেবা গ্রহণের অংশ বিশেষই সেখানে এ মসজিদ স্থাপন করে এবং প্রার্থনার অনুমতি দেয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করে যে, মুসলিমরা চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি এ স্থানে অবস্থান করে আত্মিক ও মানসিক প্রশান্তি লাভ করে। এ মসজিদও তাদের শারীরিক ও মানসিক প্রশন্তি লাভের জন্য একটি বড় চিকিৎসাকেন্দ্র।
অথচ ইসলাম বিদ্বেষী উগ্রপন্থী অপরাধীরা এ মানসিক প্রশান্তি লাভের কেন্দ্র মসজিদটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের অবমাননা করে। যা অত্যন্ত ঘৃণিত ও চরম অপরাধমূলক কাজ। কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গোথেনবার্গ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ওরেব্রোতেও একটি মসজিদে আগুণ ধরিয়ে দেয়া হয়। আর তাতে মসজিদটি পুড়ে যায়। ওরেব্রোর ঘটনার পর ডিসেম্বরে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সেফলে এটি ইসলামিক সেন্টারও বোমা হামলায় আক্রান্ত হয়।
উল্লেখ্য যে, সুইডেন অনেক অভিবাসী সমৃদ্ধ একটি শক্তিশালী দেশ। এখানে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশই বিদেশি। যার মধ্যে শুধু তুরস্কেরই রয়েছে প্রায় ১ লাখ লোক।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ