জাতিসংঘ গত শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রতিদিন অন্তত একটি অভিবাসী শিশু প্রাণ হারাচ্ছে কিংবা নিখোঁজ হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সালকে হিসাবে নিয়ে ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ ‘ফ্যাটাল জার্নিস ৪’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের অভিবাসী বিষয়ক সংস্থা আইওএম এর গ্লোবাল মাইগ্রেশন ডেটা অ্যানালাইসিস সেন্টার (জিএমডিএসি) এবং জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ যৌথভাবে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আনুমানিক ১ হাজার ৬০০ অভিবাসী শিশুর হয় মৃত্যু হয়েছে নয়তো নিখোঁজ হয়ে গেছে। আর এই তালিকায় সবার উপরে আছে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার সময় সৃষ্ট দুর্ঘটনা। অপরটি রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিধন অভিযান থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশু।
প্রতিবেদনে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে গোটা বিশ্বে ৩২ হাজার শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ‘ফ্যাটাল জার্নি নামের এই সিরিজ প্রতিবেদনে মূল বিষয়বস্তু হলো প্রতিনিয়ত গোটা বিশ্বে অভিবাসীদের মৃত্যু ও নিখোঁজের সংখ্যা যথাসম্ভব সঠিকভাবে তুলে এনে তা সবার সামনে উপস্থাপন করা।’
প্রতিবেদনে এটাও বলা হয়েছে যে, তারা শুধু সেসব অভিবাসী শিশুর মৃত্যু অথবা নিখোঁজের বিষয়টির হিসাব করতে পেরেছে যেটা সম্পর্কে জানা গেছে বা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এমন অনেক ঘটনা আছে যা গণমাধ্যম কিংবা অন্য কোথাও প্রকাশিত না হওয়ার তার হিসাব করতে পারেনি তারা।
গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী ও অভিবাসী শিশুর মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে। প্রদিতবেদনে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই সীমান্তে গত পাঁচ বছরে ওই সীমান্তে মোট ১ হাজার ৯০৭ জন অভিবাসী মৃত্যুর বিষয়ে জানতে পেরেছে তারা।