টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত যেন বুমেরাং হয়ে দাঁড়ালো আফগানিস্তানের সামনে। হেডিংলির লিডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আগে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ২২৭ রানেই থেমে গেল তাদের রানের চাকা। পাকিস্তান বোলারদের বোলিং তোপে একসময় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া আফগানরা এই সংগ্রহ পায় আসগর আফগান ও নাজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাটিং দৃঢ়তায়।
আগে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তান তাদের ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। ইনিংসের ৪র্থ ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারায় তারা। উইকেট দুটি নেন পেসার শাহিন আফ্রিদি। বাঁহাতি এই পেসার প্রথমে ফেরান গুলবদিন নাইবকে। পরের বলেই হাশমতউল্লাহ শহিদিকেও সাজঘরে ফেরান তিনি।
আফ্রিদির করা প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ১৫ রান করা গুলবদিন ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে থাকা সরফরাজ আহমেদের গ্লাভসে। যদিও আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। তবে পাকিস্তান রিভিউ নিলে দেখা যায় বল ব্যাটের কানা ছুঁইয়ে প্রবেশ করে সরফরাজের গ্লাভসে। আম্পায়ার তাই সিদ্ধান্ত বদল করে নাইবকে আউট দিতে বাধ্য হন।
এরপরের বলেই হাস্যকর এক শট খেলে নিজের মৃত্যু ডেকে আনেন শহিদি। অহেতুক শট খেলতে গেলে বল এডজ হয়ে সোজা চলে যায় মিড-অফে। সোজা ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি সেখানে থাকা ইমাদ ওয়াসিম।
তৃতীয় উইকেটে রহমত শাহ ও ইকরাম আলি খিল প্রতিরোধের আভাস দিলেও ইমাদ ওয়াসিম এসে ভেঙে দেয় আফগানদের সেই পরিকল্পনা। ৩৫ রান করা ওপেনার রহমত শাহকে বানান বাবর আজমের তালুবন্দী। চতুর্থ উইকেটে অভিজ্ঞ আসগর আফগান ও ইকরাম আলি খিল মিলে দলীয় স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৬৪ রান।
ফিফটির পথে থাকা আসগরকে ৪২ রানে ফিরিয়ে দিয়ে ভয়ঙ্কর হতে যাওয়া এই জুটি ভাঙে শাদাব খান। দারুণ এক ডেলিভারিতে সাবেক আফগান অধিনায়ককে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন তিনি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের বিদায় হতে না হতে বিদায় নেন ইকরাম আলিও (২৪ রান)। তার উইকেটটি তুলে নেন ইমাদ, বানান লং-অনে থাকা মোহাম্মদ হাফিজের ক্যাচ।
আফ্রিদি-রিয়াজ-ইমাদ ওয়াসিমদের বোলিংয়ে তখন ২০০ রানই আফগানদের জন্য অনেক বড় সংগ্রহ বলে হচ্ছিল। তবে আসগরের পর আফগানদের ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়ে যান নাজিবুল্লাহ জাদরান। বাকিরা একের পর এক ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও, তিনি খেলেন দায়িত্বশীল এক ইনিংস। আসগরের মতো তিনিও ফিফটি না করার আক্ষেপ নিয়ে আউট হন। ফেরেন সমান ৪২ রান করে। তবে এই ইনিংসেই ২০০ পার করার মতো শক্তি পেয়ে যায় আফগানিস্তান।
নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২২৭ রান তোলে দলটি। পাকিস্তানের হয়ে সেরা বোলিং পেসার শাহিন আফ্রিদির। ৪৭ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। এ ছাড়াও ঈমাড ওয়াসিম ও ওয়াহাব রিয়াজ পান ২টি করে উইকেট।