Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

father-daughterমনে আছে সিরিয়ার তিন বছর বয়সী শিশু শরণার্থী আয়লান কুর্দির কথা? কিংবা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে গ্রিসের কস দ্বীপে যাওয়ার পথে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া আয়লানের পাঁচ বছর বয়সী অপর সেই ভাইয়ের কথা?

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল আয়লান ও তার পাঁচ বছর বয়সী ভাই। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আশ্রয়ের আশায় যেতে চেয়েছিল গ্রিসে। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি তারা। ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর আয়লানসহ ১২ সিরিয়ান শরণার্থী চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তুরস্কের বোদরাম সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে আয়লান কুর্দির নিথর মরদেহ। নির্মম এ ঘটনায় তার আরেক ভাইয়ের (পাঁচ বছর) মৃতদেহও ভেসে উঠে সাগরের অন্য পাড়ে। এদের মধ্যে তিন বছরের আয়লানের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তোলে। সেই সময় অনেকেই বলেছিলেন, ছবিটি আয়লানের নয়, এটি বিপন্ন মানবতার মুখ থুবড়ে পড়ার প্রতীক।

chardike-ad

aylanআয়লানের ছবি এখন হয়তো অনেকের কাছে ঝাপসা হয়ে গেছে। কিন্তু এবার এক বাবা ও তার কন্যা শিশুর মৃত্যুর ছবি আলোড়ন তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই ছবি ফের যেন তুলে ধরল কীভাবে শত শত মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে যুদ্ধের খেলায় মত্ত দেশগুলোর শরণার্থী সমস্যা। আরও একবার মনে করিয়ে দিল সিরিয়ান শিশু আয়লান কুর্দির নির্মম পরিণতির কথা।

ছবিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিও গ্র্যান্ডে এলাকার। এই অংশে মেক্সিকোর সঙ্গে সীমানা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মেক্সিকোর একটি দৈনিক বলছে, মৃত বাবা ও মেয়ে এল সালভাদরের নাগরিক। নাম অস্কার অ্যালবার্তো মার্টিনেজ রমিরেজ ও তার মেয়ে ভ্যালেরিয়া।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নিচের দিকে মুখ করে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। তার টি-শার্টির ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে রয়েছে শিশুটি। তার একটি হাত বাবার টি-শার্টের গলার কাছ দিয়ে বেরিয়ে গলায় জড়িয়ে রয়েছে।

দেহ দুটি খুঁজে পাওয়ার পর একটি মেক্সিকান দৈনিক সোমবার সেই খবর প্রকাশ করে। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এই ছবি। ওই পরিবারটি মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে আশ্রয় চেয়েছিল। তা না পেয়ে হাতাশ হয়ে পড়েছিল।

রোববার মেয়েকে নিয়ে নদী পেরিয়ে আসে। মেয়েকে নদীর পাড়ে বসিয়ে রেখে ফের নিজের স্ত্রীকে আনতে উত্তাল নদীতে নামেন রমিরেজ। কিন্তু মেয়ে ভ্যালেরিয়া বাবাকে ছাড়তে চাইছিল না। নদীতে ঝাঁপ দেয় ভ্যালেরিয়াও। মেয়েকে ধরে ফেললেও স্রোত দু’জনকেই ভাসিয়ে নিয়ে যায়। গলা জড়িয়ে নির্মম পরিণতি বরণ করে তারা।

মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে গিয়ে প্রত্যেক বছর শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে। গত বছর সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে গিয়ে অন্তত ২৮৩ জন নিহত হয়েছেন।