এয়ার কানাডার একটি বিমানে চড়ে কিউবেক থেকে টরোন্টো যাচ্ছিলেন টিফানি অ্যাডামস। যাত্রা পথে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। হঠাৎ ঘুম ভাঙল প্রচণ্ড ঠাণ্ডায়। ঘুম থেকে উঠে দেখেন চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। আশপাশে কেউ নেই! শুরুতে খুব ঘাবড়ে গেলেন। কী ঘটেছে সেটি বুঝতে কিছুক্ষণ সময় লাগলো।
যা বুঝলেন তা হলো, বিমান অবতরণের পর বিমানের ক্রু ও বিমানবন্দরের কর্মীরা সকল ধরনের কার্যক্রম শেষ করে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে বিমানের ভেতরে আটকে রেখেই সবকিছু বন্ধ করে চলে গেছেন।
বিমানের যাত্রা শেষ হওয়ার পর বিমান ত্যাগ করার আগে পুরো বিমানের সকল অংশ ভালো করে দেখে তবেই বিমানের কর্মীদের বের হওয়ার কথা। টিফানি বলছেন ঘুম থেকে উঠে দেখেন তখনো তার সিটবেল্ট বাধা রয়েছে। বিমানটি টরোন্টো পেয়ারসন বিমানবন্দরে অবতরণের পর কয়েক ঘণ্টা ঘুমন্ত অবস্থায় বিমানে ছিলেন তিনি। সেটি রানওয়েতে পার্ক করা ছিল।
পুরো বিষয়টা ধাতস্থ হওয়ার পর প্রথমে মোবাইল ফোন হাতড়ে বের করে সেটি দিয়ে এক বান্ধবীকে জানালেন তার অবস্থার কথা। কিন্তু কোনো রকমে কথা শেষ করতেই ফোনের চার্জ চলে গেলো।
হাতড়াতে হাতড়াতে পৌঁছালেন ককপিটে। সেখানে একটি টর্চ-লাইট খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। সেটি জ্বালিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ চেষ্টা করতে লাগলেন। যাত্রীদের সুটকেস আনা নেয়া করা হয় এরকম একটি ছোট গাড়ির একজন চালক হঠাৎ সেই আলো দেখে ভয়াবহ ভড়কে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।
ততক্ষণে টিফানি অ্যাডামসের বান্ধবী ডেনা ডেল বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে সক্ষম হন। এয়ার কানাডা এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছে যে তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন। তবে মিজ অ্যাডামস এই ঘটনার পর থেকে প্রায়ই রাতে ভয়াবহ দু:স্বপ্ন দেখেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি