Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

tangail-newsটাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রেমিক জসিম উদ্দিনের (২৫) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন প্রেমিকা। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই প্রেমিকা সখীপুর উপজেলার পাথারপুর গ্রামের প্রবাসী আলম মিয়ার ছেলে প্রেমিক জসিম উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের নামে সখীপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

এ ঘটনায় ধর্ষক জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করতে না পারলেও ধর্ষণের সহযোগিতার দায়ে ওই প্রেমিকের নানা দুদু মিয়াকে (৬০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

chardike-ad

জানা যায়, সখীপুর উপজেলার পাথারপুর গ্রামের প্রবাসী আলম মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন দুই বছর আগে মালদ্বীপ যান। সেখান থেকেই জসিম উদ্দিনের এ তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর থেকে দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। গত ২৫ মে জসীম উদ্দিন মালদ্বীপ থেকে দেশে ফিরেই ওই তরুণীর ঢাকার ভাড়া বাসায় উঠে। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিয়ের আয়োজন করার কথা বলে জসিম উদ্দিন বাসা থেকে চলে আসে এবং প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ধর্ষিতা সখীপুর থানায় উপস্থিত হয়ে প্রেমিক জসিমসহ ৭ জনের নামে ধর্ষণ মামলা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সখীপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির জানান, ধর্ষণ মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামি জসিমকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মামলার বাদী ধর্ষিতা মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শুক্রবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উলে­খ্য, বিয়ের দাবিতে চলতি সপ্তাহের গত সোমবার উপজেলার পাথারপুর গ্রামে প্রবাসী আলম মিয়ার ছেলে ও প্রেমিক জসিম উদ্দিনের বাড়িতে ওঠেন নোয়াখালী মেয়ে ও প্রেমিকা মৌসুমা নিশি। এরপর বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তিনদিন অনশন করেন তিনি। তবে প্রেমিকার উপস্থিতির কারণে আত্মগোপনে চলে যান প্রেমিক জসিমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।