Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

Malশ্রীলঙ্কাকে ২৩২ রানে বেধে ফেলার পর সবাই অপেক্ষায় ছিল, কত দ্রুততার সঙ্গেই না জিতে যায় ইংল্যান্ড! তাদের যে ব্যাটিং শক্তি আর যেভাবে সবাই ফর্মে রয়েছে, তাতে ২৩২ রান তো ইংলিশদের সামনে একেবারে মামুলি ব্যাপার!

কিন্তু এই ২৩২ রানই করতে পারলো না ইংল্যান্ড। শুরুতে লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা, এরপর স্পিনার ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ঘূর্ণি তোপে পড়ে স্রোতের মাঝে খেই হারিয়ে ফেলা নৌকার মত ডিগবাজি খেতে খেতে নিজেদের হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। যার ফলে তারা অলআউট হয়ে গেলো মাত্র ২১২ রানে। ফলে টপ ফেবারিট ইংল্যান্ডকে ২০ রানে হারিয়ে দিলো দারুণ উজ্জীবিত শ্রীলঙ্কা।

chardike-ad

এবারের টুর্নামেন্টের টপ ফেবারিট ইংল্যান্ড। তাদেরকে মনে করা হচ্ছিল অবিসংবাধিত শক্তিশালী। তাদের সামনে দাঁড়ানোর সাধ্য কেবল অস্ট্রেলিয়া কিংবা ভারতেরই রয়েছে। টুর্নামেন্ট শেষে অনেকেই তাদেরকে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন ভাবতে শুরু করে দিয়েছিল বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই।

কিন্তু সেই ইংল্যান্ডই কি না এবাররে বিশ্বকাপে অন্যতম দুর্বল দল শ্রীলঙ্কান বোলিংয়ের সামনে এক প্রকার উড়েই গেলো। লিডসের হেডিংলিতে লো স্কোরিং ম্যাচে ইংল্যান্ডকে মালিঙ্গা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা কিংবা ইসুরু উদানারা বধ করে দিলো ইংলিশদের।

srilanka

শুরুতে বীরত্ব দেখিয়েছিল ইংলিশ বোলাররা। শ্রীলঙ্কাকে বেধে রাখে ২৩২ রানে। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ একপ্রান্ত আগলে রেখে অপরাজিত ৮৫ রান করতে না পারলে যে কি হতো লঙ্কানদের! ইংলিশ বোলারদের মধ্যে বিশেষ করে জোফরা আর্চার, মার্ক উড- এই দু’জনই ভাগাভাগি করে নেন ৬ উইকেট। আদিল রশিদ নেন ২টি। ১ উইকেট নেন ক্রিস ওকস।

২৩৩ রানের লক্ষ্য, চোখের পলকেই তো নিয়ে নেয়ার কথা ইংলিশদের। কিন্তু শুরু থেকেই ঝড় তোলেন লাসিথ মালিঙ্গা। শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন জনি বেয়ারেস্টোকে। এরপরজেমস ভিন্সকে স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। সেখানে ক্যাচ ধরেন কুশল মেন্ডিস।

জো রুট চেষ্টা করেন একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলার। তিনি টিকে থাকলেও অন্য প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছেই। ২১ রান করে ইসুরু উদানার হাতে রিটার্ন ক্যাচ দেন অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। রুট আর স্টোকসের জুটিটা বেশ কিছুক্ষণ টিকে ছিল। কিন্তু দলীয় ১২৭ রানের মাথায় মালিঙ্কার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে লেগ স্ট্যাম্পের ওপর থাকা বলকে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে কুলশ পেরেরার হাতে ক্যাচ দেন রুট। ৮৯ বলে ৫৭ রান করে আউট হন ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যান।

এরপর বেন স্টোকস এক প্রান্ত ধরে রেখে শুধু চেষ্টাই করে গেছেন। কিন্তু কোনো যোগ্য সঙ্গী পাননি। বাটলার ১০, মঈন আলি ১৬, ওকস ২, আদিল রশিদ ১, জোফরা আর্চার ৩ রান করে আউট হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত নুয়ান প্রদীপের বলে উইকেটের পেছনে পেরেরার হাতে মার্ক উড ক্যাচ দিতেই নিশ্চিত হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার জয়।

৩ ওভার হাতে ছিল তখনও ইংল্যান্ডের। উইকেট ধরে রাখতে পারলে জয় অসম্ভবও কিছু ছিল না। কিন্তু মালিঙ্গা (১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (৮ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট), ইসুরু উদানা (৮ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ২ উইকেট) ইংলিশদের উইকেটে টিকে থাকতে দিলো না। দুর্দান্ত বল করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন লাসিথ মালিঙ্গা।