Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

tread-ministerপ্রবাসীদের যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশে জমি কেনার পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘যত্র তত্র জমি কিনে প্রতারিত না হয়ে জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে আরও সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সহায়তা দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।’

রোববার (১৬ জুন) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইউকে বাংলাদেশ ক্যাটালিস্ট অব কমাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ইউকেবিসিসিআই) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। সেমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

chardike-ad

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারী দিন দিন বাড়ছে। এখন বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের শতভাগ লাভ দেশে নিয়ে যেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগ আনার জন্য আমরা সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াচ্ছি। তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা এখনও রয়ে গেছে। সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে রাশিয়ার বাজার উন্মুক্ত হবে। একই সঙ্গে আরও অনেকগুলো বাজার উন্মুক্ত হবে। কিন্তু আমাদের রফতানি খাতে মান নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ফলে আমাদের আলু উদ্বৃত্ত থাকার পরও রফতানি করতে পারছি না। এ জন্য আমাদের পণ্যের বৈচিত্রকরণসহ নতুন নতুন পণ্য রফতানিতে যেতে হবে। বিভিন্ন ব্যবসায় বিভিন্ন রকমের সমস্যা থাকে। তাই বিনিয়োগকারীরা তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে লিখিত আকারে আমাদের জানালে সমাধান করা হবে। এ বিষয়ে সরকার খুবই আন্তরিক।’

জমি কেনার ক্ষেত্রে জটিলতার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে নিজেদেরও অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়। তাই একজন প্রবাসী বিনিয়োগকারী যাতে সমস্যায় না পড়ে সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’ একই সঙ্গে জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

এ সময় বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের এ দেশে জমি ক্রয়ের নিশ্চয়তা দিতে একটি ডাটা বেস তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে বিনিয়োগকারীরা কোথায় জমি ক্রয় করে তার বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে।’ পাশাপাশি সমস্যা হলে দ্রুত সমাধানও করা যাবে বলে জানান তিনি।

সেমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ জানান, বৈঠকে বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তাসহ তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেগুলো হলো- বাণিজ্য বাড়াতে মানসম্মত উৎপাদন বাড়াতে তাগিদ দেয়া হয়েছে; বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রাইভেট পোর্ট নির্মাণ এবং বিনিয়োগকারীদের জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা রয়েছে সেগুলো নিরসনে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আলোচনা ভালো হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশি প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের ছেলে-মেয়েদের দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা প্রধানসহ দক্ষ নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশে এনে বাণিজ্য ক্ষেত্রে কাজে লাগানোরও পরামর্শ দেন তিনি।