ঈদে মুক্তি পাওয়ার পর পরই অভিযোগ উঠেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার একটি চলচ্চিত্রের নকল করে বানানো হয়েছে শাকিব খান অভিনীত ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিটি। তবে নকল প্রমাণ করতে পারলে বড় অঙ্কের আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন এর নির্মাতা মালেক আফসারী।
এই ঈদে মুক্তি পাওয়ার পর দর্শকদের ভালো সাড়া পাচ্ছিল ছবিটি। তবে নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের তৃপ্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই বলছেন- মালেক আফসারী পরিচালিত ছবিটির সঙ্গে ২০১৪ সালে নির্মিত দক্ষিণ কোরীয় ছবি ‘দ্য টার্গেট’ এর মিল খুঁজে পাচ্ছেন তারা।
গত ৫ জুন মালেক আফসারী নিজের ফেইসবুক পাতায় লিখেছিলেন, “যারা এত দিন প্রচার করেছে ‘পাসওয়ার্ড’ তামিল ছবি ‘ডায়নামিক’-এর নকল, তাদের জন্য আমার পুরস্কার ঘোষণা করা আছে। প্রমাণ দিয়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে যান।”
তিনি আরও বলেছিলেন, “আমি সব সময় বলে এসেছি, মৌলিক ছবি বানাবার মতো পণ্ডিত আমি নই। তার মানে এই নয়, একজন সুপারস্টারকে অপব্যবহার করব তামিল-তেলেগু ছবি নকল করে। এইসব ছবি দিয়ে এখন আর দর্শককে খুশি করা যাবে না। আমার নজর আরও ওপরে।”
তবে কোরিয়ান চলচ্চিত্রের নকল বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় চললেও এ বিষয়ে মালেক আফসারীর কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ছবিটি দর্শকদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে বলে দাবি আরেক প্রযোজক মোহাম্মদ ইকবালের। নকলের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, নকলের অভিযোগ অসত্য। আমি ‘দ্য টার্গেট’ ছবিটি দেখেছি, সেখানে আমি কোনো নায়িকা দেখিনি, মিশা সওদাগরের মতো ভিলেন দেখিনি, চারটা গান দেখিনি। যেটুকু মিল আছে তা থাকতেই পারে। ১২টা সিনেমার উপর নির্ভর করে পৃথিবীর সব সিনেমার গল্প তৈরি হয়। এগুলো আসলে ‘পাসওয়ার্ড’ এর সফলতায় ঈর্ষাকাতর হয়ে কেউ এমন করছে।
তিনি আরও বলেন, সিনেমা হল মালিকদের বাঁচাতে ‘পাসওয়ার্ড’ নিয়ে এগিয়ে এসেছি। নতুন সপ্তাহে হল সংখ্যা বেড়ে ২০০টি প্রেক্ষাগৃহে চলবে ‘পাসওয়ার্ড’।
‘পাসওয়ার্ড’ ছবিতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, বুবলী, ইমন, মিশা সওদাগর, অমিত হাসান প্রমুখ। এই ছবির মধ্য দিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবারো চলচ্চিত্র প্রযোজনা করছেন শাকিব খান। দেশের ১৭৭টি সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে।