Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

high-hillজাপানে অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতে হলে মেয়েদের হাইহিল পরা বাধ্যতামূলক৷ কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে সেরকম কোনো নিয়ম নেই৷ এটিকে তাই ”লিঙ্গ বৈষম্যমূলক‘’ আচরণ মনে করে পরিত্রাণ চাচ্ছেন নারীরা৷

জাপানি লেখক অনলাইনে এক পিটিশন চালু করেছেন যেখানে ‘ড্রেসকোড’ হিসেবে নারীদের হাইহিল পরতে বাধ্য করার চর্চা বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে৷ এর মধ্যে সেই পিটিশনে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ সায় দিয়েছেন৷ মুক্তপেশাজীবী এই লেখিকা জানান এক খণ্ডকালীন চাকরিতে তাকে হাইহিল পরতে বাধ্য করা হয়েছিল৷ এমন জুতা পরা অস্বস্তিকর বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

chardike-ad

অনলাইন পিটিশনে ইশিকাওয়া লিখেছেন, ‘‘কাজ শেষে সবাই স্নিকারস অথবা সমতল কিছু পরে৷” হাইহিল পরলে পিঠে ব্যাথা, পায়ের আঙ্গুলের গোড়ায় ব্যথা এবং ফোস্কা পড়ার মতো শারীরিক সমস্যা হয় বলেও সেখানে উল্লেখ করেছেন তিনি৷

ইন্টারনেটে অনেকেই এই পিটিশনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷ এমনকি #কুটু নামের একটি হ্যাশট্যাগও চালু হয়ে গেছে৷ জাপানি শব্দ কুৎসু’র অর্থ হচ্ছে জুতা আবার বানানভেদে সেটির অর্থ ব্যথাও৷ এই দুই শব্দের সমন্বয়ে তৈরি হ্যাশট্যাগটি ব্যবহার করে অনেক নারীই কর্মস্থলে হাইহিল পরার বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি চেয়েছেন৷ পুরুষের ক্ষেত্রে এরকম কোন নিয়ম না থাকায় নারীরা মনে করেছেন এটা লিঙ্গ বৈষম্যমূলক আচরণ৷বিষয়টি ইতোমধ্যে জাপান সরকারেরও মনোযোগ আকর্ষণ করেছে৷ দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তারা পিটিশনে উত্থাপিত বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন৷

সূত্র: ডয়চে ভেলে