Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

fan-bdস্টেডিয়ামের নানা প্রান্ত থেকে বারবার সমস্বরে আওয়াজ উঠছে, ‘বাংলাদেশ…, বাংলাদেশ….’- ২২ গজের উইকেটে ব্যাট করতে থাকা সাকিব-মুশফিক কিংবা সৌম্য সরকাররা এই আওয়াজ শুনে ধরেই নিতে পারেন, তারা নিজেদের মাঠ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামেই খেলছেন।

পরে বোলিংয়ের সময়েও দেখা গিয়েছে একই চিত্র। একটি ভালো বল, দুর্দান্ত কোনো ফিল্ডিং অথবা উইকেট তুলে নিয়ে আওয়াজ যেনো বেড়ে যাচ্ছিল বহুগুণে। অন্ততঃ মাঠের পরিবেশ টাইগারদের এনে দিয়েছে দেশের মাঠের মতোই অনুভূতি।

chardike-ad

fan-bdস্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার। এর মধ্যে ২০ হাজারই বাংলদেশের সমর্থক বললে মোটেও ভুল বলা হবে না। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের স্বাক্ষী হওয়ার জন্য লন্ডনে থাকা কয়েক লাখ বাংলাদেশি বলতে গেলে এই ম্যাচ দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে কেনিংটন ওভালের গ্যালারিতে।

টাইগারদের জার্সি, লাল-সবুজের পতাকা গায়ে কিংবা মাথায় জড়িয়ে স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছেন অসংখ্য বাংলাদেশি সমর্থক। গ্যালারিতে উপস্থিত ব্রিটিশরাও আজ হারিয়ে গেছে ‘বাংলাদেশ…, বাংলাদেশ… নামক বুলন্দ আওয়াজের ভিড়ে।

bd-fanআর তাদের এমন সমর্থনের পর মাঠের খেলাতে বাজিমাত করেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে বিশ্বকাপে। ম্যাচ শেষে দর্শকদের সমর্থনের কথা ভোলেননি অধিনায়ক মাশরাফি।

তাই তো ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রবাসী দর্শকদের প্রতি ধন্যবাদ জানান টাইগার অধিনায়ক। একই সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচেও ভালো খেলার আশাব্যক্ত করেন তিনি।

মাশরাফি বলেন, ‘সত্যি বললে দর্শকদের দেখে আমি অভিভূত। তারা পুরো ম্যাচে আমাদের হয়ে গলা ফাটিয়েছে। সকল দর্শকদের ধন্যবাদ। আশা করি পরবর্তী ম্যাচগুলোতেও তারা আমাদের সমর্থন দিতে আসবে। এছাড়া দেশে টিভিতে বসে যারা সমর্থন দিয়েছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ। আশা করি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও আমরা ভালো খেলবো।’