এবারের বিশ্বকাপের শুরুটা হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র মাস রমজান চলা অবস্থায়ই। রোজা রেখে শরীর কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়াই স্বাভাবিক, এই অবস্থায় খেলা যে কারো জন্যই কষ্টকর। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলিম ক্রিকেটার হাশিম আমলা জানিয়েছেন, রোজা বরং তাকে ভালো খেলায় সহায়তা করে।
হাশিম আমলা, বিশ্ব ক্রিকেটের জনপ্রিয় নামগুলোর একটি। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ব্যাট হাতে নিয়মিতই আস্থার প্রতিদান দেন। তাই নিয়মিত থাকেন আলোচনায়। আমলা আলোচনায় থাকেন আরো একটি কারণে। যে কোনো পরিস্থিতিতেই মেনে চলেন ধর্মীয় অনুশাসন।
এ প্রোটিয়া ওপেনার বিশ্বকাপের মাঠে খেলতে নেমেছেন রোজা রেখেই। ইংল্যান্ডের সময় অনুযায়ী প্রায় ১৯ ঘণ্টা রাখতে হয় রোজা। স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৯টায় হয় ইফতারের সময়। ফলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেখানকার সময় সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ম্যাচ শেষ হওয়ার পরও বেশ কিছুক্ষণ রোজা থাকতে হবে আমলাকে।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রোটিয়া এ ওপেনার রোজা রেখে খেলার বিষয়ে বলেছিলেন, ‘এটা সত্যিই আমাকে দারুণভাবে সহায়তা করে। আমি সবসময়ই রোজার দিকে তাকিয়ে থাকি। এটা বছরের সেরা মাস। আমি এটাকে মানসিক ও আত্মিক ব্যায়াম হিসেবে দেখি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে রান করাটাই সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। আমি একাদশে থাকছি অথবা থাকছি না, এটা আমার জন্য কখনো গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি যা জানি, তা মাঠে দেখাতে চাই। আর সেটা যাতে দলের উপকারে আসে।’
বিশ্বকাপের আগে ভালো খেললেও বরাবরই মূল টুর্নামেন্টে খেই হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। যে জন্য তাদের নামের আগে বসে গেছে ‘চোকার্স’ তকমা। তবে আমলা নেতিবাচক এই রেকর্ড নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে নারাজ।
তিনি বলেন, ‘এটা এমন একটা জিনিস আপনি চাইলেই তা বদলে ফেলতে পারবেন না। এটা স্বাভাবিকভাবেই ঘটে যাবে। এটা নিয়ে যতই সজাগ থাকি না কেন, যে কোনোভাবে তা ঘটবেই। আমার মনে হয় আমাদের ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফ সবাই অভিজ্ঞ। তাই এখানে জ্ঞানের অভাব নেই।’