Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

bangladesh-bimanপলিথিন নিষিদ্ধ। সেই পলিথিনের দেখা মিলল মাঝ আকাশে। না উড়ে বেড়াচ্ছে না, বিমান বাংলাদেশের কল্যাণে দেখা মিলল সেই পলিথিন। এমনিতে নয়- কাজেই ব্যবহৃত হচ্ছিল। সাধারণত উড়োজাহাজ গুলোতে যাত্রীদের খাবার সরবরাহ করা হয়ে থাকে একটি ট্রলিতে। পরে আরেকটি ট্রলিতে অপর এয়ার হোস্টেজ নিয়ে আসেন পানির বোতল।

পলিথিনের বিকল্প ব্যবহারটা এখানেই। ট্রলির বদলে বিমান বাংলাদেশের যাত্রীদের নাস্তা-খাবার দেওয়া হয় পলিথিনে। এমন ঘটনায় বিব্রতই বোধ করেছেন যাত্রীরা। অন্তত কয়েকজন যাত্রী এমনটাই জানাচ্ছেন। সাথে আরও জানা গেছে, ডোমেস্টিক পরিবহনে বিমান নাস্তার মানকেও অনেকটা নিচে নামিয়ে এনেছেন। কেননা নাস্তার প্যাকেটে ছিল মাত্র একটি স্লাইস কেক সাথে ২৫০ এমএল-এর একটি ফ্রেশ পানির বোতল।

chardike-ad

পলিথিনে খাবার পরিবেশনের ছবিটি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিয়েছেন এক যাত্রী। সাথে জুড়ে দিয়েছেন এমন কাণ্ডে তিনি কতটা বিব্রত।

বাংলাদেশ বিমানের কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী বিমানে এমন ঘটনা ঘটেছে। বিজি ১৪৪৩ ফ্লাইটটি সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসে। ওই বিমানে বেশ কয়েকজন ওমরা যাত্রীও ছিলেন।

জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, ‘ড্যাশ-৮ এ হাই লিফটার ব্যবহার করতে না পারার কারণে মোটা পলিথিন ব্যাগে করে স্ন্যাকস উড়োজাহাজে নেওয়া হয়। খাবার সার্ভ করার আগে সেগুলি মিল কার্ট-এ অথবা ট্রে-তে তুলে সার্ভ করার নিয়ম। কিন্তু ওই ফ্লাইটে সেটি কেন করা হয়নি তা তদন্ত করে দেখা হবে।’

তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে হাল্কা নাস্তা দেওয়া হয়। আমরা খাবারের মান কমাইনি, বরং বাড়িয়েছি। আগে আমরা প্লেন কেক দিতাম, এখন তার পরিবর্তে ফ্রুট কেক দেওয়া হচ্ছে।

তবে খাবারের মান বাড়ানোর কথা বললেও আগে অভ্যন্তরীণ রুটে খাবারের তালিকায় নিয়মিত দেখা যেত একটি স্যান্ডউইচ, একটি আমসত্ব, একটি লজেন্স একটি জুসের প্যাকেট ও পানির বোতল। কিন্তু বুধবারের ওই ফ্লাইটে এক পিসকেক ও পানির বোতল ছাড়া কিছুই ছিল না বলে বিমানের একজন যাত্রী নিশ্চিত করেছেন।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ