সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিএম তুষারের ডান হাতের কবজি কেটে মাটিতে পড়ে গেছে। রোববার বেলা দেড়টার দিকে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জিএম তুষার কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের মধ্যে তুয়ার (২৯), শহিদুল ইসলাম (৪৮), মন্টু (২৩), শেখ পলাশ (২৬), সিজানসহ (১৮) ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি ডান হাতের কবজি হারানো গুরুতর আহত জিএম তুষারকে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান নাইস বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার বেলা ১টার দিকে কলারোয়া পৌর এলাকার ইসলামী ব্যাংকের সামনে ছাত্রলীগ নেতা তুষার ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা কাটিকাটি ও মারপিট হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ২-৩ জন আহত হন। পরে ছাত্রলীগ নেতা তুষার বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশকে অবগতি করে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। এ খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী বেলা দেড়টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে তুষারের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কথা বলা অবস্থায় হঠাৎ লোহাকুড়া গ্রামের বাবু হাতে থাকা দা দিয়ে তুষারকে কোপ দেয়। কোট ঠেকাতে গেলে তার ডান হাতের কবজি কেটে যায়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাগর হোসেন বলেন, একটি গ্রুপ ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তুষারকে মারপিটের সময় হাসপাতালের বাইরে ছিলাম আমি।
কলারোয়া থানা পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, কলারোয়া সদরের সিদ্দিক ও রেজাউল ইসলামের মধ্যে জমি দখল পাল্টা দখল নিয়ে বিরোধ চলছে। সিদ্দিকের চাচাতো ভাই তুষার। ছাত্রলীগের দুইজন তাকে মারপিট করেছেন এমন অভিযোগ নিয়ে থানায় আসার পর তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়। তখন লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য থানা থেকে বাইরে যান তুষার। এরপর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে তার ওপর পুনরায় ছাত্রলীগ নেতারা হামলা চালান। এ সময় একজন কোপ দিলে তার হাতের কবজি কেটে যায়। এ ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।