উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি যে স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে তাতে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, এ পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া নিজের বেড়ে চলা সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার এ ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম বলেও তারা জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের পরমাণু আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর পিয়ংইয়ং এ পরীক্ষা চালায় এবং এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়েছে যে, তারা নতুন ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে খুবই তৎপর। আমরিকার সঙ্গে সম্ভাব্য যেকোনো যুদ্ধে এ অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে উত্তর কোরিয়া।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্রকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ক্ষেপণাস্ত্রকে লুকানো যেমন সহজ তেমনি সহজেই উৎক্ষেপণ করা যাবে এবং সুবিধামতো গতিপথ পরিবর্তন করতে পারবে।
ট্রাম্প প্রশাসন জোর দিয়ে বলছে, এ ক্ষেপণাস্ত্র ছোট এবং আমেরিকায় তা পৌঁছাতে পারবে না। কিন্তু অস্ত্র বিশেষজ্ঞ মেলিসা হানহ্যাম বলেন, “এ ক্ষেপণাস্ত্র ছোট, সহজেই লুকানো যাবে, নিয়ন্ত্রণ করতে সহজ এবং এ ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু ওয়ারহেড বহন করতে পারবে।” মেলিসা বলেন, উত্তর কোরিয়া গত বৃহস্পতিবার যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে তা রাশিয়ার এসএস-২৬ ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্রের মতো। এ ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারবে।