সেমিস্টার পরীক্ষায় নকলের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনট ভবনে সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। একই সঙ্গে সিন্ডিকেট বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের চার শিক্ষকের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
সিন্ডিকেট সদস্য ও আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরীক্ষায় নকলের দায়ে অর্ধশত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ছয় মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়াও সংবাদপত্রে নিবন্ধ লিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানের বিষয়ে চূড়ান্ত কী সিদ্ধান্ত নেয়া যায় সে বিষয়ে সুপারিশ আকারে আগামী সিন্ডিকেটে উপস্থাপনের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান আইন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে সিন্ডিকেট। এর আগে সিন্ডিকেট অধ্যাপক মোর্শেদকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছিল।
সিন্ডিকেট আগামী ৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তনের দিনক্ষণও চূড়ান্ত করে। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নোবেল বিজয়ী জাপানের তাকাকি কাজিটা।
জানা গেছে, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সেমিস্টারে পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে হল ইনভিজিলেটরের হাতে ধরা পড়েন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিলিনারি বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের বহিষ্কারের বিষয়টি চূড়ান্ত করে সিন্ডিকেট। এদিকে পরীক্ষার টেবুলেশন শিটে নম্বর টেম্পারিংয়ের দায়ে বাংলাদেশ মেডিকেলের চার শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।