সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে শিশু ফয়সাল (৫) হত্যার প্রধান আসামি তোফায়েল আহমেদকে (১৭) আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বড়খাল গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৭ এপ্রিল গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
সোমবার দুপুরে জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজবা উদ্দিনের আদালতে তোফায়েল হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ জবানবন্দি দিয়েছে সে। এরপর বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দোয়ারাবাজার থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কুয়েত প্রবাসী সফিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সালকে মুক্তিপন আদায়ে উদ্দেশ্যে অপহরণ করে তোফায়েল। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
প্রসঙ্গত গত ৪ জানুয়ারি সকালে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু ফয়সাল। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে আশপাশের এলাকায় ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বহু খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান মেলেনি তার। পরে ৭ জানুয়ারি বড়খাল গ্রামের মরাচেলা খালের পূর্ব পাড়ে একটি শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত ফয়সালের বাবা কুয়েত প্রবাসী সফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে দিনরাত পরিশ্রম করি একমাত্র পরিবারে সুখ-শান্তির জন্য। আমার এই মাসুম শিশু সন্তানকে অর্থের লোভে অপহরণ ও হত্যা করা হয়।
তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে আরও বলেন, আমার ছেলে হত্যার দ্রুত বিচার ও খুনীর ফাঁসি চাই। যাতে করে অন্য কোনো প্রবাসীকে আমার মত সন্তান হারানো কষ্ট পেতে না হয়। দেশে পরিবারকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে না হয়।