Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

chuadangaপ্রেমের টানে সুদূর আমেরিকা থেকে ৫২ বছর বয়সী এক নারী ছুটে এসেছেন ২৭ বছরের যুবক ফয়সালের কাছে। ঐ মার্কিন নারীর নাম ‘ডংসন লং’ (৫২)। চুয়াডাঙ্গার ছেলে ফয়সাল আহমেদকে বিয়ে করে ইসলাম ধর্মও গ্রহণ করেছেন ডংসন। তার নতুন নাম মরিয়ম খাতুন।

চাঞ্চল্যকর তথ্য হচ্ছে, বিয়ের পর উধাও হয়ে গেছেন তারা। বর্তমানে তারা কোথায় আছেন সে বিষয়ে কেউ কিছু জানেন না। ফয়সাল আগে থেকেই বিবাহিত। ফয়সালের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।

chardike-ad

গত ১৩ এপ্রিল প্রেমিক ফয়সালকে সঙ্গে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জজ আদালতে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মুসলমান হয়ে নাম পরিবর্তন করেন ডংসন লং। মরিয়ম খাতুন নামে ১০ হাজার টাকা দেনমোহরে ফয়সালকে বিয়ে করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের নোটারি পাবলিকের অ্যাডভোকেট এসএন এ হাশেমী বলেন, মধ্যবয়সী এক মার্কিন নারীর সঙ্গে ফয়সাল নামে এক যুবকের বিয়ে হয়েছে। তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন।

১নং আলোকদিয়া ইউনিয়নের কাজী হাশেম আলী বলেন, ‘গত ১৩ এপ্রিল শনিবার এক বিদেশি নারীর সঙ্গে ফয়সাল নামে এক যুবকের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের রেজিস্ট্রারে ফয়সাল চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজপাড়ার বাসিন্দা শাহাবুল হোসেনের ছেলে বলে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন নারী ডংসনের নাম অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে পরিবর্তন করে মরিয়ম খাতুন হয়েছেন। ১০ হাজার টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে দিয়েছি আমি।’

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বনানীপাড়ার সোনালী ব্যাংক কর্মচারী শাহাবুল হোসেনের ছেলে ফয়সাল। এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কোনো কিছু বলতে রাজি হননি ফয়সালের বাবা শাহাবুল হোসেন। ফয়সালের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।

গতকাল শনিবার বিকালে ফয়সাল আহমেদের বাড়িতে গিয়ে নবদম্পতিকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশি ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফয়সালের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তাই কাউকে কিছু না জানিয়ে মার্কিন নারীকে বিয়ে করে গাঁ-ঢাকা দিয়েছে ফয়সাল। পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানলেও কাউকে কিছু বলছেন না। বিষয়টি গোপন রাখতে চাইছেন।