Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

julianউইকিলিকসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গ্রেফতার হয়েছেন। লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অ্যাসাঞ্জকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাকে যত দ্রুত সম্ভব ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হবে।

যৌন সহিংসতার অভিযোগে করা একটি মামলায় সুইডেনে প্রত্যর্পণ এড়াতে সাত বছর আগে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। ২০১০ সালে সুইডেনে দুই নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। কিন্তু পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তবে বরাবরই আসাঞ্জ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

chardike-ad

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো জানিয়েছেন, বার বার আন্তর্জাতিক নীতিমালা ভঙ্গ করায় তার রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে উইকিলিকসের পক্ষ থেকে এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, অবৈধভাবে অ্যাসাঞ্জের ওপর থেকে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইকুয়েডর।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমি এটা নিশ্চিত করছি যে, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ব্রিটেনে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তিনি এজন্য ইকুয়েডরের সহযোগিতা এবং ব্রিটেনের মেট্রোপুলিশকে তাদের পেশাদারিত্বের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’

৪৭ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ দূতাবাস ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তার অভিযোগ তিনি দূতাবাস ছাড়লেই তাকে উইকিলিক্সের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলার আগে কেন্দ্রীয় লন্ডনের একটি পুলিশ স্টেশনে রাখা হবে অ্যাসাঞ্জকে।