australia-bangladeshiঅস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এবারের বাংলা নববর্ষ উদযাপনে। সিডনির ফেয়ার ফিল্ড শো গ্রাউন্ডে প্রায় বিশ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি সামিল হয়েছিল বৈশাখী উৎসবে। সিডনি ছাড়াও অনেকে প্রবাসী এসেছে বিভিন্ন রাজ্য থেকে। এত প্রবাসী দেখে আয়োজক সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদ সিডনির মেলা কমিটির আহ্বায়ক গাউসুল আলম শাহজাদার মুখে ছিল আনন্দের হাসি।

তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে অন্তত একটি দিন আসুক যেন সব প্রবাসী দলমত নির্বিশেষে একজায়গায় এসে আনন্দ করতে পারি। মনেহয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ সার্থক হয়েছে।

chardike-ad

লাকেম্বা থেকে আগত মোর্শেদ রওশন সরকার এসেছেন তার নতুন প্রজন্মের অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ে উঠা সন্তানকে নিয়ে, তিনি বলেন আমার সন্তানের আজকের আনন্দ দেখে আমার আসাটা সার্থক হয়েছে। কার্লটন থেকে এসেছেন ফাহিমা আরেফিন তার নতুন স্বামীকে নিয়ে, তিনি জানান আমাদের দুজনের জব থেকে ছুটি নিয়ে আমরা এসেছি বৈশাখী মেলায়, কিন্তু এত বড় আয়োজন দেখে বিশেষ করে দেশি খাবার, বিভিন্ন জুয়েলারী স্টল দেখে এখন বাসা যেতে মন চাচ্ছে না। ফাহিমা বলেন হাবিব আমার প্রিয় শিল্পী তাই যতক্ষণ কনসার্ট থাকবে আমরা উপভোগ করবো। মেলায় বাড়তি আয়োজন ছিল ফায়ার ওয়ার্কস বা আতশ বাজি।

সিডনির আকাশে একটানা ১৫ মিনিট ছিল এ আলোর ঝলকানি। ছোট শিশু কিশোরদের আনন্দ আর নাচে পুরো শোগ্রউন্ড ছিল আনন্দ মুখর। অনুষ্ঠানের অতিথিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত আলোচনাপর্ব সঞ্চলনা করেন অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী এবং গবেষক সিরাজুল হক। পর্যাপ্ত পার্কিং থাকায় প্রবাসীদের ঝামেলা ছাড়াই গাড়ি রাখতে পেরেছে তবে অনুষ্ঠানের স্টেজ কিছুটা অগোছালো ছিল বলে অনেক প্রবাসী মন্তুব্য করেছেন এ প্রতিবেদকের কাছে। মাঠে স্যাঁতস্যাতে মাটি থাকায় অনেক প্রবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

হাবিব এবং ফেরদৌস ওয়াহিদ দর্শকদের গান শুনান মধ্যে রাত পর্যন্ত। রোববার সাপ্তহিক ছুটি থাকায় প্রবাসীরা পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন।