দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পোৎপাদন গত ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হ্রাস পেয়েছে। বৈশ্বিক শ্লথগতির কারণে রফতানি দুর্বল হয়ে পড়ায় শিল্পোৎপাদনে দেখা গেছে এ পতন। গত শুক্রবার প্রকাশিত দেশটির সরকারি উপাত্তে উঠে এসেছে এ তথ্য। খবর সিনহুয়া।
স্ট্যাটিস্টিকস কোরিয়ার উপাত্ত অনুযায়ী, সব শিল্প খাতের মৌসুমভিত্তিক সমন্বয়কৃত (সিজনালি অ্যাডজাস্টেড) উৎপাদন গত ফেব্রুয়ারিতে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা কিনা ২০১৩ সালের মার্চের পর সর্বোচ্চ পতন।
২০১৮ সালের শেষ প্রান্তিকে দেশটির শিল্পোৎপাদন কিছুটা সংকটের মধ্যে থাকলেও, চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে এসে আবারো পতনের মুখে পড়ল। গত মাসে মাইনিং ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের উৎপাদন ২ দশমিক ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তিন মাস ধরে রফতানি কমতে থাকায় রফতানিনির্ভর এ খাতগুলোর উৎপাদন সংকুচিত হয়েছে।
চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে আসা নিয়ে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে শ্লথগতি। দেশটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, বেশ কয়েক মাস রফতানি দুর্বল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাবে। ফেব্রুয়ারিতে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের রফতানি আগের মাসের চেয়ে ২ দশমিক ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া খুচরা বিক্রি আগের মাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ কমে গেছে। আগের মাসে খুচরা বিক্রি শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
লুনার নববর্ষের কারণে ফেব্রুয়ারিতে ব্যবসায় কার্যক্রমের কার্যদিবস পাঁচদিন কমে এসেছিল। মূলত এর কারণেই শিল্পোৎপাদনে এতটা পতন দেখা গেছে। চার মাস ধরে দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থানীয় ভোক্তা আস্থা ছিল উন্নতির দিকে। উপার্জন বাড়াতে সরকারি নানা পদক্ষেপের ফলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যার ফলে বেড়েছে ভোক্তা আস্থা। দক্ষিণ কোরিয়ায় ধনী-দরিদ্রের আয়বৈষম্য কমিয়ে আনতে আয়নির্ভর প্রবৃদ্ধি নীতিমালা গ্রহণ করেছে মুন জা-ইন সরকার। এ উদ্যোগের ফলে সর্বনিম্ন মজুরি দুই বছরে দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। দরিদ্রদের এগিয়ে আনতেই এ উদ্যোগ করা হয়েছে।
সৌজন্যে- বণিক বার্তা