Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

jashore-bristyরাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৫ জনের একজন যশোরের মেয়ে শেখ জারিন তাসমিম বৃষ্টি (২৫)। অগুন থেকে বাঁচার জন্যে স্বামীর শেষ নির্দেশনায় ছাদে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কর্মস্থল ৯ম তলা থেকে ১৮ তলার সিঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিলেন। সেখানেই পড়েছিল তার নিথর দেহ।

শুক্রবার দুপুরে বৃষ্টির মরদেহ বাবার বাড়ি যশোর শহরের বেজপাড়া মেইন রোড এলাকায় আনা হয়। মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর স্বজন ও প্রতিবেশীদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ। বিকেলে জানাজা শেষে যশোরের কারবালা গোরস্থানে বৃষ্টির দাফন সম্পন্ন হয়।

chardike-ad

নিহত বৃষ্টি যশোর শহরের বেজপাড়া মেইন রোড এলাকার মটরপার্টস ব্যবসায়ী শেখ মুজাহিদুল ইসলামের মেয়ে। যশোরের শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী বৃষ্টি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানবসম্পদ বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাস করে যোগ দেন বনানীর এফআর টাওয়ারের ইইউআর সার্ভিস বিডি লিমিটেডের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগে। সেখানে কর্মস্থলেই আগুনে ঝরে গেলেন বৃষ্টি।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে ২৬ মার্চ সহপাঠী যশোরের পুরাতন কসবা এলাকার কাজী সাদ নূরের সঙ্গে বিয়ে হয় বৃষ্টির। কাজী সাদ নূর ঢাকার রেডিসন হোটেলে কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। চাকরির সুবাদে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় বসবাস করতেন তারা। দুই বোনের মধ্যে বৃষ্টি ছিলেন ছোট। চাকরির কারণে বাবার বাড়িতে আসা-যাওয়া কম ছিল। তবে বড় বোনের সঙ্গে সমন্বয় করে ঈদের ছুটিতে যশোরে বাবা-মায়ের সান্নিধ্যে আসতেন।

বৃষ্টির দেবর কাজী নিপুন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টায় ভাইকে ফোন দিয়ে ভাবি (বৃষ্টি) আগুন লাগার কথা জানান। এ সময় ভাই ভাবিকে ছাদে উঠে অবস্থান নিতে পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী তিনি সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠতেও শুরু করেন। কিন্তু তিনি ছাদ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি। ১৮ তলার সিঁড়িতেই পড়েছিল তার মরদেহ। মরদেহের সঙ্গে পাওয়া ব্যাগে মোবাইল থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্বজনদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মর্গে জামাকাপড় ও স্যান্ডেল দেখে আত্মীয় ও সহকর্মীরা মরদেহ শনাক্ত করেন। তার চেহারা চেনা না গেলেও শরীর পোড়েনি। ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ